দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ ‘আম্ফান’। শক্তি সঞ্চয় করে এটি এ মুর্হুতে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সাগরে প্রবল উত্তাল চলছে।
তবে বাংলাদেশের উপকূলে সরাসরি আঘাত হানবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে যে গতিমুখ রয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে খুলনা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে আমপান।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এ পরিণত হয়েছে। এটি ১৬ মে রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি