দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
চলতি মাসেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন রাফসানুল হক। বয়স ৩০। পেশায় ব্যাংকার। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন। গড়াই পাড়ে বেড়ে উঠার কারনে গড়াইয়ে নেমে গোসলও পুরোন অভ্যাস। কিন্তু সাঁতার না জানা কাল হয়ে গেল। নতুন বউটার হাত থেকে এখনও হয়তো মুঁছেনি মেহেদীর রঙ। কিন্তু কি হলো !
ভর সন্ধ্যায় নদীতে স্বজনদের আহাজারি ভারি করে তুলে গড়াই কূল।
রাফসান শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার(২৮ মে) দুপুর দেড়টায় শহরের ঘোড়ার ঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কুষ্টিয়ার পাঁচবন্ধু রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাসিবুর রশিদ তামিম,ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ, কুষ্টিয়া স্যামসাং শো-রুমের ম্যানেজার ফয়সাল ও আব্দুর রশিদকে নিয়ে গড়াই নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে দুপুরে ঘোড়ার ঘাট এলাকায় যায়।
সেখানে সবাই একসাথে নদীতে গোসলের জন্য নামে। এদের মধ্যে তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করেই তারা দু’জনেই নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্যান্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পায়নি।
বন্ধু হাসিবুর রশিদ তামিম জানান,রাফসান আর সে একসাথেই ছিল। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে তাদের পায়ের তলের বালি সরে যায়। সাঁতার না জানায় সে ও রাফসান তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে আর পাওয়া যায়নি। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে রাফসান তার কর্মস্থল ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়া এসেছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে স্থানীয় ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিস দুপুর থেকে কাজ করে। তবে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি