দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘোড়ার ঘাট ড্রেজিং পয়েন্ট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার নদীতে গোসলে নেমে হারিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার রাফসানের।
তার মরদেহ ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করা হয়। রাফসান শহরের থানাপাড়ার মৃত রেজাউল হকের ছেলে। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ঈদের ছুটিতে রাফসান বাড়ি আসে।
এদিকে রাফসানের বাড়িদে চলছে শোকের মাতম। সকালে লাশ পাওয়ার সাথে সাথে ঝড়ের বেগে আছড়ে পড়ে সেখানে মোকের বন্যা। শোকে, ব্যাথায় একেবারে হতবিহবল বাড়ির নববধুটি। যার হাত ধরে মেয়েটি ঠিক ২৬দিন আগে এই বাড়িতে এসে উঠেছিল সে নেই। একেবারে পাথর হয়ে গেছে সে। কারো সাথে কোন কথা বলছে না সে। এমন কোন শান্তনার বাণীই হয়তো এখানে নেই যে তাকে বোঝানো যায়।
বৃহস্পতিবার(২৮ মে) দুপুর দেড়টায় শহরের ঘোড়ার ঘাট সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও খুলনা থেকে আসা ডুবুরিদল দিনমানে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। নদীতে নতুন স্রোত নামায় ঠিক বোঝা কঠিন হচ্ছিল ঠিক। সন্ধ্যায় যখন ডুবুরিদল উদ্ধার কাজ স্থগিত করে তখন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে। তিনি ঐ সময় জানান বীবিত পাওয়ার কোন সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও তার বন্ধুরা জানায়, রাফসান তার কুষ্টিয়ার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে গড়াই নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে দুপুরে ঘোড়ার ঘাট এলাকায় যায়।
সেখানে সবাই একসাথে নদীতে গোসলের জন্য নামে। এদের মধ্যে তামিম ও রাফসান একটু গভীরে গেলে হঠাৎ করেই তারা দু’জনেই নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় অন্যান্য বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয় মাঝিরা তামিমকে টেনে তুললেও রাফসানকে খুঁজে পায়নি।
বন্ধু হাসিবুর রশিদ তামিম জানান,রাফসান আর সে একসাথেই ছিল। বাকিরা একটু কম পানিতে ছিল। হঠাৎ করে তাদের পায়ের তলের বালি সরে যায়। সাঁতার না জানায় সে ও রাফসান তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে পারলেও রাফসানকে আর পাওয়া যায়নি।
চলতি মাসের ২ তারিখে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি