দৈনিক কুষ্টিয়া আর্ন্তজাতিক ডেস্ক/টাইমস অব ইন্ডিয়া/
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি অন্যায় আচরণের শিকার হওয়ায় পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার ওপর ক্ষেপেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হাইকোর্ট। দেশের জনসংখ্যা বিবেচেনায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে কেন সবচেয়ে লকডাউন ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি এর জবাব চেয়েছে আদালত।
আদালতের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের বক্তব্যকে খারিজ করে দেন বিচারকেরা। তাদের দাবি, পুলিশের জবাবে ভুক্তভোগীদের কোনো বক্তব্য নেই।
এ বিষয়ে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে উপযুক্ত পদক্ষেপ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় আদালত।
মঙ্গলবার তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের জিজ্ঞাসা তার মানে কী অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা আইনভঙ্গ করে না?
অধিকার কর্মী শীলা সারাহ ম্যাথিউসের আনা অভিযোগের শুনানিতে বিচারক রাঘাভেন্দ্র সিং চৌহান এবং বিচারক বিজয়সেন রেড্ডির একটি বেঞ্জ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
শীলা সারাহ অভিযোগে জানান, লকডাউন ভাঙার জন্য শুধু মুসলিমদেরই দায়ী করে পুলিশ তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করছে। অনেকগুলো ঘটনায় এমনটি দেখা গেছে।
এতে দেখা যায়, জুনাইদ নামে এক মুসলিমকে পুলিশ এমনভাবে পিটিয়েছে তার শরীরে ৩৫টি সেলাই পড়ে। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন জুনাইদ। তাকে এক কনস্টেবল থামিয়েছিলেন এরপর তাকে এভাবে পেটানো হয়।
আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে বের হওয়া মোহাম্মদ আসগর নামে এক ব্যক্তি একটি ভবনের উপর থেকে পড়ে গেলে তার উভয় পা ভেঙে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে বাঁচতে তিনি ভবন থেকে লাফ দেন।
আদালত পুলিশের কাছ থেকে জানতে চায়, লকডাউন ভাঙার জন্য পুলিশি আচরণের শিকার হওয়ারা সবাই মুসলিম কেন?
বিচারকেরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকান, সেখানে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনায় কীভাবে পুরো দেশ এখন জ্বলছে।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি