April 23, 2025, 4:56 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
সরকারের প্রচেষ্টায় ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের পথ শীঘ্রই উন্মুক্ত হবে : রিজওয়ানা হাসান বেনাপোল কাস্টমসে ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয় থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত নয় পুলিশ জানা গেল তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে তাই কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না কোনো আয়োজন ! একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫ জেলায় এক কেজি ধানও পায়নি খাদ্য বিভাগ ! সীমান্তে মাদক সরবরাহ করতে এসে ৩ ভারতীয় আটক দর্শনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ, দাফন হবে নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশী পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের ব্যাখা দিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই, ভাস্কর্যগুলো পূণস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে : উপদেষ্টা

চালকল মালিকদের চালবাজি বন্ধ করতে সরকারের চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
এখন ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। আগে এ শুল্কের হার ছিল ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন জিটুজি পদ্ধতিতে এবং বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।
মন্ত্রীবলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেই আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৈধ লাইসেন্সধারীদের আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে।
দাম না বাড়ালে চাল না দেয়ার বিষয়ে মিলারদের হুমকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কারও হুমকিতে মাথানত করে না। আমরা মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজন আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনব। যাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনব।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারিভাবে যখন যতটুকু আমাদানি করা প্রয়োজন করব। বোরো মৌসুম আসার আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেটাও করব। বোরো মৌসুমে এ অবস্থা থাকলে আবার আমদানি করব।

তিনি বলেন, আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছি। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা। বাইরে কৃষকরা ধান বিক্রি করে লাভবান হলে সরকারের কাছে বিক্রি করে না। আজও বাইরে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। আমাদের চালের রেট বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সহনীয় রেট কী করা যায়, সেটার কোনো নীতিমালা নেই। ধানের দাম কমলে আমরা কৃষকের জন্য হাহাকার করি। আবার চালের দাম বাড়লেও হাহাকার করি।
স্ট্যান্ডার্ড রেট ঠিক করতে নীতিমালা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই একটা স্ট্যান্ডার্ড রেট থাকতে হবে। এ জন্য সহনশীল স্ট্যান্ডার্ড রেট তৈরি করতে হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি, অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। আমরা কমিটিও করেছি। তারা নীতিমালা তৈরি করতে কাজ করবে। আর সেটা চূড়ান্ত হলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আম্ফানের কারণে ধানের ফলন কম হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি ঠিক থাকলেও আম্ফানের কারণে এবার ফলন কম হয়েছে। তবে দেশ ধান-চালের ঘাটতি আছে, তা বলছি না। আমাদের সরবরাহ সিস্টেম আছে। দেশে প্রায় ২০ হাজার মিল আছে। মিলপ্রতি গড়ে ৫০০ মণ ধান প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। কোথাও আবার ১ হাজার মণও থাকে। হিসাব করলে ৩০ লাখ মেট্রিকটন টন চাল থাকে। সবাই মনে করে আমাদের কমতি আছে। কিন্তু তা নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net