দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
দেশে চলমান লকডাউনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুগ্ধ খামারের উৎপাদিত দুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা। এদিকে অনন্যোপায় হয়ে রাস্তায় দুধ ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খামারীরা।
উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই রয়েছে ছোট- বড় দুগ্ধখামার। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার যেমন ছানা, দুধের ক্রীম, দই, ঘি, মাখনসহ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মিষ্টির দোকানগুলোতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে উৎপাদিত দুধ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অধিকাংশ খামারী।
এদিকে মাসুদ নামে এক দুগ্ধখামারী জানান, আমরা অনেক লস দিছি। লকডাউনের কারণে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ কিনছে না। বন্ধ রয়েছে উপজেলার মিষ্টির দোকানগুলো। আবার সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে উৎপাদিত দুধ।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, অগ্রিম টাকা দিয়ে খামারীদের কাছ থেকে আমাদের দুধ সংগ্রহ করতে হয়, কিন্তু লকডাউনের কারণে দুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমরা পুঁজি হারাতে বসেছি।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুরে-আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলাতে ২ হাজার ২৪১ টি খামারে মোট গাভীর সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬২ হাজার। বাৎসরিক উৎপাদন ২৩ লাখ ৪৫ হাজার লিটার দুধ। আমরা ইতিমধ্যে ডি,এল,ও স্যারের মাধ্যমে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিকে জানিয়েছি যে দুগ্ধজাত খাবারকে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের আওতায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত মিষ্টির দোকানগুলো যেনো খুলে দেয়া হয়।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি