জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গায় ১৫ দফা দাবিতে শুরু হওয়া ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়েছে কৃষিপণ্যের উপর।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে জেলার পণ্যবাহী পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। সকাল থেকেই জেলার সবকটি রুটে বন্ধ রয়েছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল। এতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা। পণ্যবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় জেলার বাইরে কৃষিপণ্য পাঠাতে পারছেন না তারা। কৃষিপণ্য পচন নিয়ে শঙ্কায় এ জেলার কৃষকরা। দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ' আমি ৫ বিগি শিম চাষ করিচি। আমি শিম নিয়ি ঢাকায় বিক্রি করি। কিন্তু টিরাক ও মিনিটিরাক বন্দ হওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়িগিচি। একুন তো সব নষ্ট হয়ি যাবে। একেনেও খুব একটা দাম পাওয়া যাবে না। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার কাঁচামাল আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান জানান, ' আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করে থাকি। কিন্তু পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় আমারা কাঁচামাল আমদানি করতে পারছিনা। এতে কৃষিপণ্যের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, অবিলম্বে দাবি আদায় না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচী দেয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু জানান, করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়েছে সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য। ঠিক সেই সময়ে পণ্য পরিবহন মালিকদের উপর অগ্রিম আয়কর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। এতে আমরা বিব্রত। ওই সিদ্ধান্ত বাতিলসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।
তিনি আরও জানান, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত হয় সেই মোতাবেক পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি