December 6, 2024, 10:52 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর আরও এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাটবাড়িয়া গ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন (৩২)। তিনি সারুটিয়া ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। ঘটনায় ওই গ্রামের আবদুস শহিদের ছেলে মিলন হোসেন (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য শৈলকুপা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সারুটিয়া ইউপি নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে হারান আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি ওই ইউপি নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের কর্মী ছিলেন।
পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি ঐ ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) হয়েছেন জুলফিকার কায়সার। তিনি শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত হয়েছেন।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জসিম উদ্দিন ও মিলন হোসেন তাদের বাড়ির পাশে একটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এমন সময় বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কায়সারের ৭-৮ জন কর্মী হামলা করে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যান। গ্রামবাসী তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে নেওয়ার পর জসিম উদ্দিন মারা যান। মিলন হোসেন সেখানে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
নিহত জসিম উদ্দিনের স্বজনেরা বলেন, তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন তিনি। সম্প্রতি নির্বাচন উপলক্ষে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন বছর বয়সের শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ছেলে রয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ নিয়ে সেখানেই থাকেন।
Leave a Reply