November 11, 2025, 7:02 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হলো ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে শীতের আগমন, প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হবে: সেনাবাহিনী অনার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্স/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শূন্য থাকে লক্ষাধিক আসন কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা গোয়ালন্দে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

কুষ্টিয়ার ৩ মৃত্যু/ অ্যালকোহলের উৎস পোড়াদহ সুইপার কলোনি

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় অ্যালকোহল পান করে তিনজনের মৃত্যুর পর পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে ঐ অ্যালকোহলের উৎস ছিল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ সুইপার কলোনি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান তথ্য অনুযায়ী মৃত চারজনই সুইপার কলোনিতে বসে রবিবার রাতে ঐ অ্যালকোহল পান করেছিলেন। তিনি জানান এখন পর্যন্ত মোট ৭জনকে চিহ্নিত করা গেছে যারা ঐ কলোনি থেকে বিষাক্ত স্পিরিট পান করেছিলেন।
পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এরা সবাই ঐ কলোনির নিয়মিত খরিদ্দার ছিলেন। সেখানে গিয়ে মদ পান করতেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান ঐ দিন রাতে মোট ৩০ থেকে ৩৫ জন ঐ কলোনি থেকে বিভিন্ন ধরনের মদ সংগ্রহ করেছিল।
মদ সংগ্রহকারীরা বিভিন্ন স্থানে বসে মদ পান করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হবার পর তারা হাসপাতালে আসেন। এসময় এরকম সাতজনকে রোববার রাত ৯টা থেকে দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনজন মারা যান।
তিনি জানান অ্যালকোহল বিষাক্ত ছিল সেখানে থেকেই বিষক্রিয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হবে। তিনি জানান চিহ্নিত বাকি চারজনকেও পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১জনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও এর বাইরেও কেউ অসুস্থ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্ত করছেন কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন ও মিরপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম।
ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান বিষাক্ত মদ, স্পিরিট বিক্রয়ে ঐ কলোনির পুরোন কুখ্যাতি রয়েছে। তবে ওখানে যারা নিয়মিত মদ পান করেন তারা সবাই পেশায় সুইপার। যার একটি তালিকাও রয়েছে।
এরবাইরেও অনেকে গোপনে সেখানে পান করতে যান বা মদ সংগ্রহ করে পান করেন।
তিনি জানান দুটি থানা মিলে বিষয়টি তদন্ত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net