দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ফুল আর শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করছে অসভ্য পাকি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছে ভাষার অধিকার সেই বীর সন্তানদের।
দিবসের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি ও বিশিষ্ট নাগরিকরা। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার ভোররাত ১২টা ১২ মিনিটে সরকার প্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছান।
অমর একুশের ঐতিহাসিক গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...আমি কি ভুলিতে পারি' গানের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এরপর ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাঙালির শোক আর অহংকারের এই মিনার।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের আঘাতে রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরও অনেকে। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা।
রাষ্ট্রভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একুশের চেতনার প্রতীক 'শহীদ মিনার' এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি