April 25, 2025, 4:12 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়ার ১ জনসহ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১৫ বিচারকের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি একশ্রেণীর শিক্ষকদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বন, এসএসসিতে সারা দেশে যা ঘটছে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে রুপা পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি, ৪ মাসে উদ্ধার ১০২ কেজি রোববার পর্যন্ত আবহওয়ার খবর/চুয়াডাঙ্গাসহ চার অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ছড়াবে অন্য জেলাতেও সরকারের প্রচেষ্টায় ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের পথ শীঘ্রই উন্মুক্ত হবে : রিজওয়ানা হাসান বেনাপোল কাস্টমসে ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয় থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত নয় পুলিশ জানা গেল তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে তাই কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না কোনো আয়োজন ! একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫ জেলায় এক কেজি ধানও পায়নি খাদ্য বিভাগ !

বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
হাই কোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এর আগে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি সেসব বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তার আগে ২০ মার্চ গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আগের দিন ১৯ মার্চ সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে অপসারণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
গত ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারককে অপসারণের দাবি ওঠে।
এরপর গত ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের একজন ছিলেন খিজির হায়াত।
খিজির হায়াত ছাড়াও হাই কোর্টের যে বিচারকদের বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানও ছিলেন।
আর অন্যরা বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে নামার তথ্য দিয়েছিল।
সেদিন বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তা তদন্ত শুরু করবে।
তার আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ছুটিতে পাঠানো বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান নভেম্বরে এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
স্থায়ী না হওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন। আর জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন।
অসদাচরণের অভিযোগে প্রায় দুই দশক আগে ২০০৪ সালে সুপ্রিম জুড়িশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমানকে অপসারণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হলে সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে টানাপড়েন তৈরি হয়।
এরপর এক রিট মামলার রায়ে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।
২০১৭ সালের ওই রায়েই বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলা হয়। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের ওই রায় সরকারের সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালতের টানাপড়েনে নতুন মাত্রা দেয়। রাষ্ট্রপক্ষ ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও পরে আর শুনানির উদ্যোগ নেয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রিভিউ আবেদনটির শুনানি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করে রায় দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটে।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কাউন্সিলের অপর দুই সদস্য হলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিচারপতির বিষয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সুপারিশ পাঠানোর পর রাষ্ট্রপতি তা বাস্তবায়ন করেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের অগাস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে তারা বিচারিক দায়িত্বের বাইরেই ছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এ বছর ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে।
গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় ছাত্র-জনতার দাবির মুখে ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।
আখতারুজ্জামান ১৯৯১ সালের ২৭ মে জেলা আদালতে তাঁর আইনি অনুশীলন শুরু করেন ।
১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিচার বিভাগে যোগদান করে এবং সহকারী বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হয়। আখতারুজ্জমান ২০১৫ সালের ১৪ জুন জেলা ও দায়রা জজ পদে উন্নীত হন। তিনি ঢাকার বিশেষ জজ কোর্ট – ৫ – এর বিচারক ছিলেন।
২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আখতারুজ্জমান। ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আখতারুজ্জামান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হয়।
আখতারুজ্জমানকে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক করা হয়।
২০২২ সালের ১৪ জুলাই আখতারুজ্জামান দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপিল করার পর দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রাক্তন কর্মকর্তাকে জামিন প্রদান করেন। [ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায়ের সমালোচনা করে বলেছে যে কেবল দোষীদের বয়স বিবেচনা করে জামিন দেওয়া উচিত নয়।[৯] হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ ৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য সামিয়া রহমানকে সাহিত্যচৌর্যের জন্য পদচ্যুত করার আদেশ বাতিল করেন।[ ১৮ অক্টোবর আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশ দেন যে , কেন মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পুনর্গঠনকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।[ গত নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে অন্য এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার জন্য সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি আখতারুজ্জমান ও বিচারপতি জাফর আহমেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net