দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঝিনাইদহে একটি হত্যা মামলায় নিজের মনমতো এজাহার লিখে বাদী পক্ষের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক এক থানার ওসির বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাদী ঐ ওসির অপসারণের দাবিতে মগাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছির করেছে।
রবিবার ঝিনাইদহ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জানা গেছে, জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে আবু তালেব নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে হত্যা করা হয়। তালেব ঝিনাইদগের বেদেপল্লীর বাসিন্দা।
ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে নেন কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম।
আলীম জানান, তাকে ওসি একটি কাগজ দিয়ে বলেন এটি মামলার এজাহার এবং তাতে স্বাক্ষর করতে বলেন। এসময় আলীম ঐ হত্যাকান্ডে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম সেখানে আছে কিনা জানতে চান। ওসি বলেন, সব নাম আছে।
পরে আলীম জানতে পারেন, মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। যাকে ওইদিনই গ্রেফতারও করা হয়।
আব্দুল আলীম বলেন, পরদিন নিহত তালেবের স্ত্রী জানেদা বেগম ও পরিবারের অন্য সদস্যসহ আলমি থানায় যান এবং মামলার এজাহারের কপি চান।
আলীমের অভিযোগ, ওসি তাদের সাধে দূর্ব্যবহার করে সবাইকে বের করে দেন।
আলীম জানান, হত্যার মাস্টারমাইন্ড সেলিম নামে একজন। সে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এই ঐ এজাহারে মাস্টারমাইন্ড সেলিমের নাম নেই। এজন্য তিনি এজাহার দিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, কালীগঞ্জ থানার অনেক পুলিশ সদস্য বেদেপল্লীতে গিয়ে সেলিমের সঙ্গে বসে নিয়মিত আড্ডা ও মাসোয়ারা নেন।
আজ রোবাবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বেদেপল্লীর দুই শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় অবস্থান নিয়ে এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা ওসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও দেখা পাননি। এরপর তারা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন। পরে তিনদিনের মধ্যে ওসির অপসারণের আলটিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যান তারা।
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোফাজ্জেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। বাদীপক্ষ এখন নতুন করে আরও আসামি অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। এ দাবি নিয়ে থানায় এসে তারা বিশৃঙ্খলা করেছেন।
এসব বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া মুঠোফোনে জানান, সেখানে কি ঘটনা ঘটেছে, তা আমার জানা নেই। ঘটনার বিস্তারিত জেনে তারপর জানাতে পারব।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি