দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কঠোর নজরদারির পরও ঝিনাইদহ জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমের মহেশপুর উপজেলার আটটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচার এখনও ব্যাপক হারে চলমান।
দালাল চক্র দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ এনে সীমান্ত এলাকায় জড়ো করছে। আইন প্রয়োগে ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে অনেককে পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে ভারতে পাচার করা হচ্ছে, যদিও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি কিছু মানুষকে আটক ও উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে।
রবিবার সকাল পর্যন্ত মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একই সময়ে জানানো হয়, সীমান্ত পেরোনোর সময় ১০ জন পুরুষ, ২২ জন নারী, ২০ জন শিশু ও ২ জন মাদক পাচারকারিসহ মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্ত চৌকি (বিওপি)-এর পৃথক অভিযানে এদের আটক করা হয়।
মহেশপুরে অবস্থানরত ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তজুড়ে মানবপাচার সমানভাবে হচ্ছে না, বরং এটি মহেশপুর সীমান্তকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি সক্রিয়।
স্থানীয় দালালরা এখানে তুলনামূলকভাবে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যেখানে বিজিবি বা পুলিশ এখনো পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে এখানে এনে পাচার করা হচ্ছে।
সূত্রগুলো দাবি করেছে, এই সীমান্ত শুধু মানবপাচারের নয়, বরং সোনা, রুপার মতো মূল্যবান পণ্য ও অন্যান্য সামগ্রী পাচারেরও নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে।
গত চার মাসে ভারত থেকে পাচারকালে এই সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০২ কেজি রুপা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
সীমান্ত বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করছে, বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে আরও বহু পাচার প্রতিদিন ঘটে চলেছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার দায় পুলিশের নয়, এটি পুরোপুরি বিজিবির দায়িত্ব।
“আমাদের কাজ কেবলমাত্র আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আটক নারী ও শিশুদের মানবপাচারবিরোধী সংস্থার পরিচালিত শেল্টার হোমে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজিবি কর্মকর্তা জানান, সীমান্তে অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সবসময় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
“বিজিবি নিয়মিত পাচার হওয়া পণ্য উদ্ধার করছে, এবং প্রতিদিনই পাচার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি