
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশের বাজারে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিব ও কৃষি সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ট্যারিফ কমিশনের সর্বশেষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাজারে কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে, যেখানে এই সময়ে দাম থাকার কথা ছিল ৯০ টাকার মধ্যে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একই পেঁয়াজের দাম মাত্র ৩০ টাকার মতো।
এ অবস্থায় সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্য দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে কমিশন মনে করছে। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য, তবে প্রতিবেশী দেশে দাম কম থাকায় শুল্ক হ্রাসের প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পেঁয়াজের বাড়তি দামের সুবিধা কৃষক পাচ্ছেন না; বরং মুনাফা কুড়াচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। আমদানির সুযোগ তৈরি হলে তাদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত—যেখান থেকে মোট আমদানির প্রায় ৯৯ শতাংশ আসে। এছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিশর থেকেও সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি হয়। গত অর্থবছরে দেশে প্রায় ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণ সমস্যাসহ নানা কারণে প্রায় ১১ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাজারে সরবরাহ আসে প্রায় ৩৩ লাখ টন।
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর : ড. আমানুর আমান,এম.ফিল (আইইউকে), পিএইচডি ( এনবিইউ- দার্জিলিং)
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: শাহনাজ আমান।
কার্যালয়:- থানা ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া।মোবাইল- ০১৭১৩-৯১৪৫৭০, ইমেইল: info.dailykushtia@gmail.com
ই-পেপার কপি