November 28, 2025, 7:38 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
পৌনে ১২ লাখ টনে নেমেছে সরকারি চালের মজুদ, ৩ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলা/হাসিনা পরিবারের তিন সদস্যের কারাদণ্ড কুষ্টিয়ায় গলাকাটা, মুখ পুড়ানো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় আসছেন জাসিম উদ্দিন, লটারির পর একযোগে ৬৪ এসপিকে বদলি শীর্ষ ব্রিটিশ আইনজীবীদের টিউলিপ সিদ্দিক মামলার সমালোচনা বন্দর-এলডিসি নিয়ে সিদ্ধান্ত অন্তর্র্বতী সরকার নিতে পারে না: তারেক রহমান ভারত থেকে চাল কিনবে সরকার, সরবরাহকারী সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান চার মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়াল এনবিআর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রকাশ্যে গুলি করে একজনকে হত্যা, আহত ১

ভূয়া করোনা পরীক্ষার সনদ বিক্রি, কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গ্রেফতার

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
অর্থের বিনিময়ে কোনরকম পরীক্ষা ছাড়াই ‘চাহিদা’ মাফিক করোনার সনদ দিয়ে আসছিলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা হেলথ ভবনের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মাহফুজুর রহমান। তিনি ব্যবহার করছিলেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব সনদের ফরম্যাট। নিজের নামে সিল তৈরি করে এসব সনদ দিয়ে আসছিলেন তিনি।
বুধবার কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল অভিযান চালায় উপজেলা হেলথ ভবনে। এ সময় মাহফুজুরের কক্ষ থেকে জাল সনদপত্রসহ কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ও পেন ড্রাইভ জব্দ করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিরপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ড. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।
সিভিল সার্জন জানান তার কম্পিউটার থেকে এমন ১৩ জনের জন্য প্রস্তুত সনদ, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজুর এমন সনদ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ওসি জানান শুধু কুষ্টিয়ার নয়, যোগাযোগ¯’াপনকারী বিভিন্ন জেলার অনেককেই তিনি এ সনদ দিয়েছেন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তিনি নেগেটিভ সনদ দিতেন। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবিদের এ সনদ দরকার ছিল তাদের ক্ষেত্রে তিনি এ সনদ দিতেন। প্রতি সনদ থেকে তিনি ইচ্ছে মতো অর্থ নিতেন।
প্রতি সনদে প্রায় দুই হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন। তবে এখন পর্যন্ত কতগুলো সনদ তিনি দিয়েছেন তা সঠিকভাবে স্বীকার করেন নি বলে জানান ঐ পুলিশ কর্মকর্তা।
মিরপুর উপজেলা হেলথ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আক্তার জানান নিয়মানুযায়ী উপজেলায় প্রতিদিন যেসকল নমুনা সংগৃহীত হবে সেগুলো পাঠানো হবে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। সেখান থেকে ফলাফল তৈরি হবে এবং ঘোষিত হবে।
এখানে ঐ অভিুযক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নমুনা সংগ্রহ হোক বা না হোক তার সাথে যোগাযোগকারীদের চাহিদামতো সনদ দিয়ে দিতেন।
একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এ ধরনের ঘটনার জন্য তার কিরুদ্ধে কঠোর ব্যভ¯’া গ্রহনের পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এই স্বা¯’্য কর্মকর্তা জানান।
জেলা সিভিল সার্জন জানান বিষয়টি আমরা আইনগতভাবে উর্ধ¦তন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
আজ (২৭ আগস্ট) তাকে কুষ্টিয়ার আদালতে নেয়া হবে জানান পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net