December 23, 2025, 2:08 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, টানা দুই দিন সূর্যের দেখা নেই ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমের মধ্যেও রপ্তানি ও রাজস্ব বৃদ্ধি লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়/ চিরনিদ্রায় শহীদ ওসমান হাদি কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে প্রশাসন শোকবার্তায় জামায়াত /আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লবের অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার কারিগর ছিলেন হাদি’ মব সন্ত্রাসে জাতি বিভক্ত, দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান সরকারের জুলাই–অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে অন-ডিউটি চিকিৎসকের মোবাইল গেম খেলা/ দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা, আরও অভিযোগ আজ মহান বিজয় দিবস/বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও বিজয়ের গৌরবগাথা

ঢাকার কলেজ ছাত্র জুবাইর মাহমুদ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গা/
প্রেমিকার সাথে বিয়ে করতে চুয়াডাঙ্গায় এসে খুনের শিকার ঢাকার সাভার বিপিএটিসি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র জুবাইর মাহামুদ (২০) হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাঃ বজলুর রহমান এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন-চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের মৃত হারান মন্ডলের ছেলে মুন্তাজ আলী ও একই উপজেলার পিতম্বরপুর গ্রামের গোলাম নবী শেখের ছেলে মোহাম্মদ হাসান। মামলার অন্যতম আসামী জুবাইরের প্রেমিকা নুসরাত জাহান পিয়াসহ অন্য আসামিদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি পিয়ার বাবা নজির আহমেদ, রশিদ আহমেদ ও নজু মারা যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল জুবাইর মাহামুদ বিয়ে করার জন্য তার প্রেমিকা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর গ্রামের নুসরাত জাহান পিয়ার বাড়ীতে আসেন। পরে তাকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না পেয়ে জুবাইরকে হত্যা করে লাশ গুম করে পিয়ার স্বজনরা। এর ১৬ দিন পর পিয়ার বাড়ীর কাছের কবরস্থান থেকে মাটি খুঁড়ে পুলিশ জুবাইরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জুবাইরের পিতা নুরুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে পিয়াসহ ৯ জনকে আসামী করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সদর থানার এসআই সেকেন্দার আলী তদন্ত শেষে ৮ জন আসামীর নামে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামী রশিদ আহমেদ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। আরেক আসামী নজু মারা যায় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে। স্বাভাবিক মৃত্যু হয় পিয়ার পিতা আসামী নজির হোসেনের। ফলে মামলা থেকে বাদ পড়ে ওই দুইজন আসামী। মামলার বাকী ৬ আসামীর মধ্যে মুন্তাজ আলী ও মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকী চার আসামী আমীর হোসেন, ইমান আলী, নুসরাত জাহান পিয়া ও কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। এ মামলায় ১৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা করা হয়।
মামলার বাদী জুবাইরের পিতা নুরুল হক চৌধুরী এ রায় প্রত্যাখ্যান করে জানান, তিনি ন্যায় বিচার পাননি। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ আসামী বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুরে খুন হন ঢাকার বিপিএটিসি কলেজের ছাত্র জুবাইর মাহামুদ। পরদিন বাদী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত কলেজের ছাত্র জুবাইর মাহামুদের বাবা নুরুল হক চৌধুরী।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net