November 13, 2024, 11:59 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করেই এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বুধবার (৭ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এটা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শ নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশের পরিস্থিতি দেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরাসরি পরীক্ষা বাতিল করে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে গ্রেড নম্বর নির্ধারণ করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কী পদ্ধতিতে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে সেটি নির্ধারণ ও পরামর্শের জন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শিক্ষা বোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। তাদের আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে। এর ভিত্তিতে ডিসেম্বরে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
অনেকে এক, দুই বিষয়ে বা পুরো ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একইভাবে মূল্যায়ন করে তাদের গ্রেড নম্বর দেয়া হবে। তবে কীভাবে তা দেয়া হবে তা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হলেও এইচএসসি পরীক্ষায় অনেকে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ‘কী করার ছিল, কি ছিল না তা ভেবে লাভ নেই। সারাবিশ্বে এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে, এর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে আমরা কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা আগের ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। প্রাইভেট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৯০ জন এবং খারাপ ফলের কারণে ১৬ হাজার ৭২৭ জন পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
Leave a Reply