December 9, 2024, 9:14 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
জেলা পর্যায়ে ব্যাবসায়ী ক্যাটেগরি থেকে সর্বোচ্চ মুল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধকারীর সম্মাননা পেয়েছেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সুরেকা এন্টারপ্রইজের স্বত্তাধীকারী অজয় সুরেকা। তিনি গ্রীণ এন্টারপ্রাইজ নামক আরেকটি সিস্টার প্রতিষ্ঠান থেকে এ সম্মাননা পান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে কাস্টমস, এ্যাক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর অঞ্চল আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অজয় সুরেকার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কাস্টমস হাউস বেনাপোলের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কুষ্টিয়া জেলা থেকে তাকে এ সম্মননা প্রদান করা হয়।
কাস্টমস, এ্যাক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোর অঞ্চলের তমিশনার মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এ্যাক্সাইজ ও ভ্যাট অতিরিক্ত কমিশনার মো: ফজলুল হক, যুগ্ম কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল।
দশমবারের মতো আয়োজিত দিবসের স্লোগান হচ্ছে- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ইএফডিতে এনবিআর’। ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে এনবিআর বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়।
নানামুখী ব্যবসায়ে জড়িত সুরেকা পরিবার। ইতোমধ্যে পার হয়েছে প্রায় শত বছর। দেশজোড়া খ্যাতি ইতোমধ্যে দখলে এই পরিবারের। পৈত্রিক ব্যবসা স্থান শহরের রাজারহাট বড় বাজার। তবে কাপড় ব্যবসা দিয়ে এই পরিবারের যাত্রা আরম্ভ হলেও বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসায় বিশেষ দক্ষতা অজর্নকারী অজয় সুরেকা প্রায় ডজনেরও বেশী দেশ-বিদেশী কম্পানির লোকার ডিস্টিবিউটর।
ডিস্টিবিউশন ব্যবসার মধ্যে গ্রামীণ ফোন ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ অন্যতম।
অজয় পরপর আটবার গ্রামীণ ফোনের বেস্ট ডিস্ট্রিবিউটর হাউজ হিসেবে খেতাব অর্জন করেন। অন্যদিকে, ইউনিলিভার বাংলাদেশের সফল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ব্যবসা করছেন ৫০ বছর ধরে।
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় এই ব্যবসা বিস্তৃত রয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রায় ৫০০’শর অধিক মানুষ কর্মরত রয়েছেন।
কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট অজয় নিজেকে ব্যবসায়ে জড়ান যখন তার পিতা মান্তুরাম সুরেকা ১৯৯২ সালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অজয়ের গতিশীল নেতৃত্বে খুব অল্প দিনেই সুরেকা এন্টাপ্রাইজের সকল ব্যবসা সাফল্য লাভ করে।
ব্যবসার পাশাপাশি অজয় সুরেকা নানা সামাজিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তিনি ্অগণিত প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য। এসব প্রতিষ্ঠানের নানা জনহিতকর কাজে তিনি নানভাবে সহায়তা করে থাকেন। তিনি ঝড়েপড়া শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা, অসহায় বয়স্কদের নিয়ে নানারকম জীবন-যাপন সহায়তা করে থাকেন।
একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেব তার স্বপ্ন হলো একটি উন্নত সোনার বাংলা গঠনে সহয়তা করা।
Leave a Reply