September 13, 2025, 2:35 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন: বিএনপির জন্য আত্মবিশ্লেষণের বার্তা ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

ঝিনাইদহের শৈলকুপা হাসপাতালের প্যাথলজীতে করোনা পরীক্ষার নামে অর্থ আত্মসাত!

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ/

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবার এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার রোগীদের হতে হচ্ছে  আর্থিক হয়রানির শিকার।

৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত বছর মার্চ থেকে শুর“ হয় করোনার নমুনা সংগ্রহ। শুর“ থেকে ২৯ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৬৬৮টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্যাথলজী বিভাগের দায়িত্বে থাকা মোঃ আরিফুজ্জামান রোগীদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পূর্বেই রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৩২০ টাকা আদায় করে থাকেন।

এ তার তথ্য মতে ২০ টাকা কাগজপত্র ফটোকপি, ১’শ টাকা ল্যাবচার্জ ও ২’শ টাকা যাতায়াত খরচসহ মোট ৩২০ টাকা নেয়া হয়। তবে কোন রোগী জমাস্লিপ চাইলে শুধুমাত্র ১’শ টাকার রশিদ কেটে দেওয়া হয়। কুশোবাড়িয়া গ্রামের রোগীর স্বজন ইপিয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, তার বাবার করোনা টেস্টের জন্য ৩২০ টাকার পরিবর্তে তাকে ১’শ টাকার রশিদ দিতে গেলে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

তিনি আরিফুজ্জামানের নিকট জানতে চেয়েছিলেন, যাতায়াত এবং ফটোকপি খরচ কি তার সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। একই দিন পুরাতন বাখরবা গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, প্রতি রোগির নিকট থেকে যাতায়াতের কথা বলে যে ২’শ করে নিচ্ছে সে হিসেবে এ যাবতকালে আরিফুজ্জামান ১৬৬৮ নমুনা পরীক্ষার বিরপরিতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯শ ২০ টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে প্রতীয়য়মান হয়। ব্রহ্মপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মধু মোল্লা জানান, করোনা মহামারিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা  একেবারেই নাজুক তার উপর সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ মরার উপর খাড়ার ঘা বসিয়ে দিচ্ছে। কাজীপাড়া গ্রামের রাকিবুজ্জামান অভিযোগ করেন তার মায়ের করোনা পরীক্ষাবাবদ ১’শ টাকার পরিবর্তে কেন ৩’শ ২০ টাকা দিতে প্রশ্ন উঠলে আরিফুজ্জামান ঊর্ধ্বত কর্তৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল উঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

 

সচেতন মহলে প্যাথলজী বিভাগের অন্যান্য পরীক্ষার সরকারি খরচ নিয়ে স্ব”ছতা ও আরিফুজ্জামানের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্যাথলজীস্ট আরিফুজ্জামান বলেন, টাকা তিনি একা ভোগ করেন না এবং ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন তাদের অনুমতিতেই এ টাকা নেয়া হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের পিসিআর টেস্ট কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য সপ্তাহে একবার সেখানে যেতে হয় বলেই যাতায়াত খরচ ২’শ টাকা নেয়া হয় এমন মন্তব্য করেন।

 

তবে একজন মানুষ সপ্তাহে একবার কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য সকল রোগীর নিকট থেকে ২০০ টাকা যাতায়াত খরচ ও ফটোকপির ২০ টাকা গ্রহণ কি শোভনীয় এমন প্রশ্নের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তাছাড়া এ বিষয়ে সরকারি বরাদ্দ আছে কিনা আরিফুজ্জামানের নিকট তার সদুত্তর নেই।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা আমার জানা নেই। প্যাথলজির দায়িত্বে যারা আছে তারা এর জবাব দেবে। তদন্ত করে কোন অনিয়ম হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, করোনা টেস্টের জন্য মাত্র ১০০ টাকা সরকারি ফি এর বাইরে কোন খরচ নেই। ফটোকপি, হ্যান্ডগ্লোবস, স্যানিটাইজার, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরকারিভাবে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিধিবহির্ভূত কোন অর্থনৈতিক অসংগতির অভিযোগ প্রমান পেলেই তার বির“দ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net