November 13, 2025, 5:30 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে অবরোধ/সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে রাজবাড়ীতে থেমে থাকা বাসে কুষ্টিয়াগামী এসবি পরিবহনের ধাক্কা, আহত ১৫ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি দুর্নীতির মামলা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়লো আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে

শ্বশুর বাড়ি নয়, স্কুলে গেল শিক্ষার্থী !

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। শ্বশুর বাড়ির পরিবর্তে ওই শিক্ষার্থীকে আবারও স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মেয়েটির লেখাপড়ার দায়িত্বভারও নিয়েছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গাড়াবাড়িয়া গ্রামের এক দিনমজুরের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করা হয় আলমডাঙ্গার এক যুবকের। আজ সকাল থেকেই শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। দুপুরে বিয়ের সমস্ত আয়োজন ও প্রস্তুতি শেষও হয়। অপেক্ষা ছিল শুধুই বরের। বর আসলেই শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হবে শ্বশুর বাড়ি। কিন্তু সেই মুহুর্তেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষকসহ আমরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হই। মেয়ের অভিভাবককে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বলা হয়। তিনি আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। পরে আমরা মেয়েটির পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তাৎক্ষণিকভাবেই মেয়েটির দুই বছরের স্কুল ফি, পরীক্ষার ফিসহ বিদ্যালয়ের সব খরচ পরিশোধ করে দেয়া হয়। এছাড়া তার যাবতীয় শিক্ষা উপকরণেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ আসার খবরে বরও আর আসেনি বিয়ে করে নববধূকে বাড়ি নিয়ে যেতে। বিয়েও হয়ে যায় পণ্ড। মূলত আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।
ওসি বলেন, শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নতুন জীবন শুরু করার কথা ছিল ওই শিক্ষার্থীর। কিন্তু আমরা তাকে আবারও স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তার আরেকটি নতুন জীবনের যাত্রা সূচনা করলাম। বাল্য বিয়ে বন্ধ করায় সেখানে থাকা সবাকে মিষ্টিমুখ করান মেয়েটির পরিবার।
এসময় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মৎ মেহেজাবিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য জিন্নু আলী, মানবাধিকারকর্মী এডভোকেট মানি খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইমরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net