November 21, 2024, 12:26 pm
এসএম জামাল/
স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’র প্রধান উপদেষ্টা ও সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান ড. আমানুর আমান বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম ও সমাজ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
যদিও বা সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তবে জোটবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালে একটা ভালো কিছু সম্ভব হবে। আর সমাজকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠনের জন্ম হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন সংকটে সামাজিক সংগঠনগুলো ব্যাপক তাৎপর্য ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি সামাজিক সংগঠন এ জেলার তরুণ প্রজন্মের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শহরের খেয়া রেস্তোরাঁয় সামাজিক সংগঠন “স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা” আয়োজিত ‘সংগঠন গড়তে সংগঠকের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা আমার হাতেই গড়া। সংগঠনটি মুলত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হলেও মানুষকে রক্ত দিয়ে অনন্য সৃষ্টি করেছেন। অনেক মানুষের উপকার করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ও তারা নিরলস ভাবে কাজ করেছে।
সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে তরুণরা বেশ ভূমিকা রাখছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় ৫৪ টি সংগঠন রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে এ জেলার সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। এসব সংগঠনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে একজন নাগরিকের মাঝে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব সংগঠনের সদস্যরা তরুণ প্রজন্মের জন্য সহশিক্ষা হিসেবে কাজ করছে।
স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’র সভাপতি সাদিক হাসান রহিদের সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা এসএম জামালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা, আলো স্বেচ্ছাসেবী পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক অজয় মৈত্র, ভালোবাসার কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান হাসান টুটুল প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেরাব হাসান মুশফিক। পরে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশের বিতর্ক আন্দোলনের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রীয় সংগঠন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ (এনডিএফ বিডি) এর চেয়ারম্যান একেএম শোয়েব বেেলন, যোগ্য নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে সংগঠনের কর্মীরা পরিচালিত হয়। এজন্য নেতার দায়িত্ব কর্মীদেরকে যোগ্য ও অভিজ্ঞ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন দীর্ঘ পরিকল্পনা ও যুগোপযোগী কর্মসূচির, সেই সাথে তা বাস্তবায়ন। এক্ষেত্রে সংগঠকদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, যোগ্য নেতৃত্ব, নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং একদল নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের সমন্বিত নাম হল সংগঠন। একজন সংগঠক হিসেবে এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে। তাহলে সংগঠন গতিশীলতা লাভ করবে। পাশাপাশি একজন কর্মীকে সংগঠক হওয়ার জন্য তার দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকা চাই। কারণ, দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করা ছাড়া যোগ্য সংগঠক হওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, জগত বিখ্যাত সংগঠকদের কর্মময় জীবন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের সফলতার পিছনে কোন কোন বিষয়গুলো সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করেছে তা চিহ্নিত করে সে আলোকে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। যা নিজ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এসময় সংগঠনের সকল সদস্যসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply