November 21, 2024, 7:46 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
শেখ হাসিনার সরকারের উৎখাতের পর গঠিত অন্তর্র্বতী সরকারের মেয়াদ প্রায় আড়াই মাস। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ গতি ফেরেনি। বিভিন্ন অফিসে ব্যাপক রদবদল হলেও কাঙ্খিত গতির দেখা মিলছে না। এখনও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই।
ওদিকে, স্থবিরতা স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নেই উপজেলা প্রশাসন। সেখানে সব আটকে আছে হাজার হাজার ফাইল। বন্ধ হয়ে গেচে সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ড।
সচিবালয়ে প্রতিদিনই নিয়মমাফিক ঢুকছেন কর্মকর্তারা। রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নেই কাজ।
নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই।
একই অবস্থা মাঠ প্রশাসনেও। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা আসিফ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার নেই। কুষ্টিয়াসহ আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতে জোর দিচ্ছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
নতুন করে প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে, সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
Leave a Reply