July 16, 2025, 7:35 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
হাসিনার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তির সুরই প্রবল ভবদহ আবার প্লাবিত, শতাধিক পরিবার জলাবদ্ধ , ফসলি জমি ডুবে গেছে, মাছ ভেসে গেছে রাজবাড়ী, পাবনা, যশোরসহ ১৩ জেলায় এখনও শেষ হয়নি সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প বিষয়: জুলাই অভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি কাদা–গর্তে নাজুক যশোর–খুলনা মহাসড়ক/দুর্ভোগে যাত্রী ও পরিবহন খাত, বেড়ে যাচ্ছে ট্রিপের সময় ২০৫০ সালের মধ্যেই বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: পিউ রিসার্চ সেনা সদরের চিঠির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে: আইএসপিআর প্রাথমিক থেকেই দুর্বল ভিত্তি/ অদক্ষ শিক্ষকতার দায়ে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়ায় অটোচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা করে অটো ছিনতাই জনতা ব্যাংক সংক্রান্ত দুদকের মামলায় অধ্যাপক আবুল বারাকাত গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী, পাবনা, যশোরসহ ১৩ জেলায় এখনও শেষ হয়নি সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রাজবাড়ী, পাবনা, যশোরসহ ১৩ জেলায় এখনও শেষ হয়নি সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প। ফলে সাধারণ কৃষকরা প্রায় প্রতি বছরই চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মজুত না থাকার অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে ডিলারদের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়ে। বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারের পর্যাপ্ত মজুত গড়তে ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১৯ সালে প্রকল্পটির সমাপ্তকাল নির্ধারণ হলেও এখন পর্যন্ত শেষ করা যায়নি প্রকল্পটি। বরং ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে ৩য় সংশোধনীর জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠানো হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৫৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে ধান উৎপাদনে শীর্ষে থাকা ১৩টি জেলায় সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই জেলাগুলো হলো পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, যশোর, গাইবান্ধা, নীলফামারি, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, পাবনা, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও সুনামগঞ্জ।
ভরা মৌসুমে সারের মজুত বৃদ্ধি করে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং ডিলারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছে সার পৌঁছানোই ছিলো সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এই গোডাউনের নির্মাণের উদ্দেশ্য। আর প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো মধ্যে ছিরো গোডাউন নির্মাণে আউটসোর্সিং ও ভূমি অধিগ্রহণ, যানবাহন ভাড়া, বিশেষজ্ঞ সেবা ও সুপারভিশন, ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ, সাইট অফিস নির্মাণ ও লিয়াজোঁ অফিস ডেকোরেশন, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয় (সাইট অফিস ও লিয়াজোঁ অফিস) এবং সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল নির্মাণ।
সূত্র জানায়, একনেক সভায় বিগত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো সার মজুতের গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়। তারপর প্রকল্প শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরো ৬ মাস বাড়িয়ে প্রথম বারের মতো সংশোধনী আনা হয় এবং তা অনুমোদন হয়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে মেয়াদ আরও একবছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। আর তৃতীয় বার চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এখনো প্রকল্পটি শেষ করতে না পারায় চতুর্থ দফায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছরের আরএডিপিতেও প্রকল্পটির অনুকূলে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, যার মধ্যে সরকারের তরফে ৪৫ কোটি টাকা এবং আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা অর্থায়ন ছিল।
৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশিষ্ট এলাকার কৃষকদের দোরগোড়ায় দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প খরচে সার পৌঁছানো সম্ভব হবে। কৃষকের অধিক ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে এবং দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। উপরন্তু এই গোডাউনগুলোতে পর্যাপ্ত সার নিরাপদে সংরক্ষণ করা যাবে, যার মাধ্যমে সংকটকালে কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
সূত্র আরও জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় অপরিবর্তিত রেখে আইএমইডি’র শর্তগুলো প্রতিপালন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০২৫ এর পরিবর্তে জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net