October 29, 2025, 12:39 am

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১১-২০ গ্রেডের শূন্যপদে জনবল নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করা হয়।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি জানান, কমিটির সভার সিদ্ধান্ত শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি আকারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় নিয়োগ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে রাতেই নিয়োগ স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ১১-২০ গ্রেডের শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হলো। পরবর্তী করণীয় বিষয়ে যথাসময়ে সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে শনিবার সকাল থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে চাকরিপ্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় সাত ঘণ্টা পরে তালাটি খুলে যায়। তালা খোলার বিষয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য ভিন্ন—সিভিল সার্জন কার্যালয় দাবি করছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি তালা খুলেছে; অপরদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা তালা খোলেননি।
জানা যায়, ২০১৮ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১১৫টি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও সে প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর আওতায় স্বাস্থ্য সহকারী ৯৭ জন, পরিসংখ্যানবিদ ৩, কোল্ড চেইন প্রযুক্তিবিদ ১, স্টোরকিপার ৪, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৫ এবং চালক ৪ জন নিয়োগের কথা ছিল। শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় আট হাজারের বেশি প্রার্থী অংশ নেন।
অভিযোগ করা হচ্ছে, কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতারের আবাসিক মেডিকেল অফিসার যোগসাজশ করে প্রায় ৪০ জন চাকুরী প্রত্যাশীকে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বাসাতে নিয়ে পরীক্ষার আগেই পরীক্ষা নেয়া হয়। এরা বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কমীদের সন্তান বলে অভিযোগে প্রকাশ পেয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে আন্দোলনে নামে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।