September 12, 2025, 9:42 pm
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে টিটন হোসেন নামে এক রোগীর।
ওই ঘটনায় আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ওই ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী টিটন হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে টিটন হোসেনের (২৯) বাম পায়ের হাড় ভেঙে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই সময় ক্লিনিক মালিক তার পায়ের পাতা থেকে সমস্ত পা ব্যান্ডেস করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ৩ দিন পর আসতে বলেন অপারেশন করতে। বাড়ি গিয়ে দুইদিনের মাথায় অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে না পেরে তিনি ফাতেমা ক্লিনিকে ছুটে যান। ওই সময় ক্লিনিক মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু তাকে রাজশাহী গিয়ে বড় ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করাতে বলেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন টিটন। সেখানে চিকিৎসকরা ব্যান্ডেজ খুলে দেখেন পায়ের মাংস পঁচে গেছে। অবশেষে চিকিৎসকরা উপায়ান্তর না পেয়ে তার বাম পা কেটে ফেলেন। প্রথমেই ভেঙে যাওয়া পা ভালোভাবে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করলে এমন সর্বনাশ হতো না বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগী টিটন হোসেন জানান, রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরে ওই ঘটনা ক্লিনিক মালিককে জানালে তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে আজীবন সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি। বাধ্য হয়ে গত ১৭ এপ্রিল তার ক্লিনিকে উপস্থিত হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাড়িয়ে দেন। তাই আমি ফাতেমা ক্লিনিক মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ভুক্তভোগী টিটন একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।