January 17, 2025, 1:43 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
তাকে বলা হচ্ছিল কুষ্টিয়ার করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধের প্রধান অগ্রগামী নায়ক। এটা ঠিক তখন থেকেই ঠিক আজ থেকে দু’মাস আগে ঠিক যে মুহুর্তে দেশে করোনা ততোতা জেঁকে বসেনি। কুষ্টিয়াতেও তখনও করোনার প্রার্দভাব সেভাবে দেখা দেয়নি। কিন্তু একজন জেলা প্রশাসক একের পর এক প্রস্তুতি সভা করছেন। একে ওকে ডেকে এ নির্দেশনা, এ প্রস্তুতি, সে প্রস্তুতি নানা বিষয়ে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।
খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জেলাজুড়ে মাঠ প্রশাসনকে সাজিয়ে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ছয়টি উপজেলার আনাচ-কানাচ চষে বেড়িয়েছেন। দিন থেকে রাত রাত থেকে দিন। তোয়াক্কা করেননি কোন কিছু। দক্ষতার প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। তার কথা ছিল সকল প্রশংসা কাজে আসবে শেষ সফলতা উঠে আসবে ঠিক যখন।
শেষ সফলতা হয়তো আসবে। প্রতিরোধ যুদ্ধই হয়তো জয়ী হবে। কিন্তু তার আগেই থেকে সাময়িক ছন্দ পতন ঘটল। একজন কর্মবীরকে থেমে যেতে হলো।
আমরা বলছিলাম কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের কথা। আজ শনিবার (৬ জুন) যে মুহুর্তে খবরটি এলো সেই মুহুর্তেই উপরের কথাগুলো মনে এলো। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।
তিনি জানান কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে আসলাম হোসেনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় শনিবার (৬ জুন) এবং বিকালে ফলাফল পজিটিভ আসে।
তবে ডাঃ তাপস জানান বিষয়টি আরো অধিকতর পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।
কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওবায়দুর রহমান। তিনি জানান এটা তাদের কাছেও খুবই বেদনার। তিনি বলেন প্রায় দুই থেকে আড়াইমাস যাবৎ যেভাবে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এই জেলাকে করোনামুক্ত রাখতে কাজ করে চলেছেন তা নজীরবিহীন। তিনি জানান জেলা প্রশাসক বাসাতে আছেন। তিনি স্বাভাবিক আছেন। তিনি কিভাবে কি করবেন এটা নিয়ে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করছেন।
তিনি সবার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।
Leave a Reply