November 7, 2024, 8:11 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
আগের দিন তিনি নমুনা দেন। নিয়মানুযায়ী উপসর্গ নিয়ে নমুনা দেয়ার পর থেকে যে কাউকেই ফলাফল না আসা পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সে নিয়ম মানেননি গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গাইনি) ডা: সফর আলী। এমনকি কর্মস্থলেও কয়েকদিনের কর্তব্য পালনের পর তার থাকার কথা ছিল কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু কোনটিই মানেন নি। তিনি রোগী দেখেছেন, রোহী অপারেশন পর্যন্ত করেছেন। নমুনা দেয়ার একদিন পর জানা গেল তার করোনা পজিটিভ। অথচ এরই মধ্যে তিনি কমপক্ষে ৫০ জানের সংস্পর্শে এসেছেন।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সফর আলী গত বুধবার সকালে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া ফলাফলে তার পজিটিভ আসে। তিনি প্রায় তখনই তথ্যটি পেয়ে যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সফর আলী দিনভর তার চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যান। রোগী দেখেন। অপারেশন করেন।
জানা যায় ওই দিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার দৌলতপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে তিনি অন্তত ১০/১২ প্রসূতি অস্ত্রোপচার করেন।
তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। তিনি গোপালগঞ্জে কর্মরত থাকলেও প্রতি সপ্তাহেই তিনি দৌলতপুরে আসেন, রোগী দেখেন, অপারেশন করেন।
দৌলতপুরের মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক সায়েম হোসেন জানান সফর আলী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ও রাত ৯টায় দুবার চিকিৎসক তার ক্লিনিকে দুজন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন। বিষয়টিতে তিনিও বিব্রক বলে জানান।
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে জানান সফর আলী শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে তিনি কি করেছেন সেটা তিনি অবগত নন।
এ ব্যাপারে কথা বলেন চিকিৎসক সফর আলী। তিনি জানান তিনি তেমন কোন শক্ত উপসর্গ বহন করছিলেন না। হালকা জ্বর অনুভব করায় তিনি নমুনা দিয়েছিলেন।
তিনি জানান, তবে ফলাফল জানার সাথে সাথেই তিনি সবকিছু থেকে নিজেকে বিরত করেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন তিনি সবকিছু অবগত হয়েছেন। এটা একটি ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে তাতে কেন্ সন্দেহ নেই। বিষয়টি দেখা হচ্ছে বরে তিনি জানান।
Leave a Reply