June 19, 2025, 4:44 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন
নিজ হাতে স্বাধীন করা দেশে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন। তাঁর হাতে ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক যুদ্ধ-বিধস্ত ও ক্ষয়ে যাওয়া অর্থনীতি, যার বর্তমান মুল্যমান ৩০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক রির্জাভ ছিল শুণ্য। শুরু করাটা তাই ছিল পাহড়সম চ্যালেঞ্জ। তিনি তা গ্রহন করেছিলেন। সামাজিক সমতা ও ন্যায়বিচার চিন্তাকে অগ্রভাগে ধারণ করে তিনি অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মুক্ত, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ এক “সোনার বাংলা”, যা ঐ বিপন্ন অবস্থায় দাঁড়িয়েও মোটেই কোন ইউটোপিয়া ছিল না। কারন বাস্তববাদী ও দূরদর্শী নেতা বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করতেন যে দেশ কয়েক শতাব্দী আগেও কৃষি উৎপাদন, সোনালি আঁশ পাট, মসলিন, রেশম, সুতি বস্ত্র এবং মসলা রপ্তানিতে সমৃদ্ধ এক সোনার দেশ ছিল সেই দেশ কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না।
বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিত উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে আধুনিক রাষ্ট্রের এক রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে উন্নয়ন চর্চা ও চিন্তা-চেতনায় ব্যক্তিত্বের সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তা প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৭৩-১৯৭৮) প্রতিফলিত হয়েছিল। সাড়ে তিন বছরের স্বল্প পরিসরে বঙ্গবন্ধু এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধির দিকে যাত্রার এক সোনালী সোপান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন কিন্তু নিজ হাতে করা মুক্ত ও স্বাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সুযোগ নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে সেদিন ঘাতকরা শুধু একটি জাতির আশা-প্রত্যাশাকে ভেঙে স্তব্ধ করে দেয়নি, নস্যাৎ করে দেয় একটি উন্নয়ন স্বপ্নকেও।
তারা বলেন সময়ের অমোঘ নিয়মে আজ সেই মুক্তির, সেই স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে দেশ ; জাতির পিতারই রক্তের সুযোগ্য উত্তরাধিকার, তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত পরিকল্পনা, তাঁর দীর্ঘলালিত সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে সহযোগীতা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক ইউনিট। ব্যাংকের মজমপুর শাখায় এ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে টেলিকনফারেন্সে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান মন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয সভাপতি ডাঃ এসএ মালেক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মতিউর রহমান লাল্টু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক ইউনিট কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাড.নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংক লিঃ উপ-মহাব্যবস্থাপক কুষ্টিয়া অঞ্চল প্রধান ওয়াহিদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড.মাহবুবুবল আরফিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বাবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড.আমানুর আমান।
বক্তব্য রাখেন, অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতির কুষ্টিয়া অঞ্চলের সভাপতি মীর ওহিদুজ্জামান চৌধুরী। অগ্রণী ব্যাংক সিবিএ কুষ্টিয়া অঞ্চলের সভাপতি লুৎফর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক ইউনিট কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহ-সভাপতি সুমন রায়হান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাংগীর আলম। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মোসলেম উদ্দিন। সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অগ্রণী ব্যাংক ইউনিট কুষ্টিয়া অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত।
Leave a Reply