August 6, 2025, 11:38 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আপাতত ঠেকে গেছে কুষ্টিয়ায় শিশু অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ। রোববার সুপ্রিশ কোর্টের আপিল বিভাগ রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া বাতিল করতে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) এবং কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়ার পর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া থামিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে যেন ফাঁসি কার্যকর না করা হয়, সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে কারা মহাপরিদর্শক ও কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলতে বলেছেন।
এদিন আদালত শুকুর আলীর আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করতে বলেন।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন আদালতকে জানান, অ্যাডভান্স অর্ডারের কারণে কারা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না হওয়ায় তিনি রিভিউ আবেদন করতে পারেননি।
২০০৪ সালে কুষ্টিয়ায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আপিল চলতি বছরের ১৮ আগস্ট শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। বাকিরা হলেন—নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন।
আদালত তাদের কমডেম সেল থেকে নরমাল সেলে স্থানান্তর করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডে রায় চ্যালেঞ্জ করে পৃথক আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আপিল বিভাগে এই আদেশ দিয়েছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্ত শুকুর আলীর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি তার আবেদন খারিজ হয়, তাহলে কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের ওই শিশু প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করেন। এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে তারা হত্যা করেন। পরদিন তার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামি শুকুর, সেন্টু, আজানুর, মামুন ও কাসরুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে আসামিরা হাইকোর্ট বিভাগে পৃথক আপিল করেন। ২০১৪ সালের আদালত আপিলের শুনানি শেষে আদেশ দেন। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আসেন।
Leave a Reply