August 3, 2025, 8:10 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মূল্য দেয় না কেউ, ভেসে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা : খোদ জাতিসংঘ হাজার কোটি টাকার গড়াই নদী খনন/ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে ব্যর্থতা ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৭ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ কার্যকর/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দেশে প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দরিদ্র, শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বছরে ১০-১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: মানুষের প্রকৃত আয় এখনো ঋণাত্মক হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স/১ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা গোপন তৎপরতার আশঙ্কা: ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে পুলিশ

দীর্ঘদিন অকেজো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইটি বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট অকেজো হয়ে রয়েছে। দ্রæত চালু করতে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে দুইটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতেন। বর্তমানে প্ল্যান্ট দুইটি একেবারে অকেজো হয়ে যাওয়ায় এই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
২০১৭ সালে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। এতে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। পরবর্তী বছরে পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় আরো এক লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু ছয় মাসেরও বেশী সময় ধরে পরিচর্যা ও মেরামতের অভাবে কল দুইটি বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, তিন মাস অন্তর কমপক্ষে একবার প্ল্যান্টগুলোর পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু করোনার কারনে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কল দুইটি নষ্ট হয়ে পড়ে। করোনা মহামারীর পরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পানির প্ল্যান্ট দুইটি মেরামত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে আবারো এগুলো বিকল হয়ে যায়। বিগত ছয় মাস যাবত প্ল্যান্টগুলো সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে আছে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানির ট্যাবগুলো ভাঙা। চারিদিকে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর, মরিচা পড়ে লোহার যন্ত্রপাতিগুলো প্রায় ব্যবহারের অননুপোযোগী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নেই নিরাপদ খাবার পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানিই পান করছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা দূরে হলেও ওই প্ল্যান্ট থেকে পানি সংগ্রহ করতেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কর্পতৃক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন এটা চরম একটি অব্যবস্থাপনা। এটা কতৃপক্ষের চরম গাফিলতি।
জানা গেছে, ভবনের নিচতলায় হওয়াতে ভবনের ছয়টি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা এবং ক্যাম্পাসের অনেকে সহজেই নিরাপদ পানি পেতে পারতো।
সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘এমনিতেই হলে বিশুদ্ধ পানির সংকট। চারতলা থেকে নিচে আসতে হয় এক বোতল পানির জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মিয়া এইসব দায়িত্বে থাকলেও তিনি কোন কাজ করেন না বলে অভিযোগ। তিনি বেশীলভাগ ক্যম্পাসে থাকেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন ‘করোনার ছুটিতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় প্ল্যান্টগুলোতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলো মেরামত করা হয়েছিল। এগুলো দেখাশোনা করার পর্যাপ্ত লোক না থাকার কারণে পরবর্তীতে আবারো এগুলো বিকল হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক জানান কাজটির জন্য ফাইল প্রশাসনের নিকট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ত্রæটির কারনে কর্তৃপক্ষ ফাইলগুলো ফেরত ব্যাক করে দিয়েছে। ঠিক করে প্রসাশনের নিকট পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net