November 15, 2024, 6:47 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত রবিবার সোমবার ভোর রাতে পদ্মা নদীতে দুষ্কৃতিদের হামলার পর নিখোঁজ হওয়া আরও এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) মরদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত এএসআইয়ের নাম মুকুল হোসেন, তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুরের কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা এবং প্রয়াত আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
কুষ্টিয়া পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পালাশ কান্তি নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে পাবনা-নাজিরগঞ্জ টার্মিনাল সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানা পুলিশের একটি দল পদ্মার ওপাড়ে চড়সাদিপুর এলাকায় চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে যাচ্ছিল। তাদের সাথে ছিলেন উপজেলার কয়া ইউপির সদস্য। এ সময় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে থাকা জেলেদের সাথে পুলিশের বচসা হয়। নৌকা ঘুরিয়ে চলে যওয়ার সময় পুলিশ ও জেলেদের নৌকার সংঘর্ষ হয় এতে করে পুলিশের নৌকাটি ডুবে যায়।
নৌকায় থাকা এএসআই নজরুল ইসলাম এবং ইউপি সদস্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলে দুজন এএসআই নিখোঁজ হন।
মঙ্গলবার
মঙ্গলবার খুলনা থেকে একটি ডুবুরি দল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এএসআই সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পদ্মার শিলাইদহ এলাকা থেকে।
এদিকে, এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply