December 12, 2024, 5:50 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চির বিদায় নিলেন বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফর। নিভে গেল সৃষ্টির এক অধ্যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তিনি মারা যান আমাদের কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান, আমাদের প্রিয় আবু জাফর স্যার। তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার।
আবু জাফরের অমর সৃষ্টি ছিল ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি। গানটির গীতিকার ও সুরকার ছিলেন তিনি। তার এই গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল।
আবু জাফর ছিলেন- একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার, কবি এবং সংগীতশিল্পী। পেশাগতজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
আবু জাফর রচিত অনন্য সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি।
আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো.জমির উদ্দিন। আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ উল্লেখযোগ্য গান।
বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু তিনি। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) উল্লেখযোগ্য।
শুধু তাই নয়, তিনি নিজের রচিত এবং সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তার সাবেক স্ত্রী ফরিদা পারভীন তার সঙ্গে যুগল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
Leave a Reply