December 12, 2024, 5:44 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া জেলাজুড়েই ডিপথেরিয়া, নিউমোনিয়া ও হুপিং কাশিসহ শিশুদের ছয়টি রোগের টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও কোন টিকা নেই। এতে জেলায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বছরের শেষে এসে ফুরিয়ে গেছে সরকারী সরবরাহের টিকা। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই টিকার স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। সরকার থেকে নতুন সরবরাহ না আসা পর্যন্ত সমস্যা মিটবে না বলে জানানো হয়।
বর্তমানে পেন্টা ও পিভিসি টিকা দুটির কোনো সরবরাহ নেই বলে উল্লেখ করা হয়।
আজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেক অভিভাবক শিশুকে নিয়ে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
শহরের থানাপাড়া থেকে দুই বছরের শিশুকে নিয়ে হাপসপাতালে এসেছেন লিপটন হোসেন। ডাক্তার নিউমোনিয়ার টিকা দিতে বলেছেন। পেশায় দোকান কর্মচারী লিপটন জানান, হাসপাতালে এ টিকা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কিন্তু বাইরে থেকে ক্রয় করতে গেলে মূল্য পড়বে ২২৫০ টাকা। তিনি বিপাকে আছেন বলে জানান।
জানতে চাইলে হাসপাতালের চিকিৎসক, শাহরিয়ার পারভেজ জানান এই টিকা ৫ বছর অন্তর নিতে হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, তারা টিকা প্রদান করেন বটে। কিন্তু এসব টিকাদান কর্মসূচি জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে পরিচালিত হয।
তিনি জানান, বর্তমানে টিকার সংকট দেখা দিয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, তারা সরবরাহ পেয়ে থাকেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে। কিন্তু সেখানে না থাকলে তো কোন উপায় নেই।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন জানান, সম্প্রতি জেলায় টিকার স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ না আসায় এই সংকট।
তিনি জানান, এই মুহুর্তে এটা সারা দেশের সমস্যা।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। শীঘ্রই সমাধাণ হয়ে যাবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
Leave a Reply