September 27, 2025, 12:35 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় হাইওয়ে থেকে গরু ডাকাতি অব্যাহত রয়েছে। এবার দুজনকে বেধড়ক কুপিয়ে লুট করা হলো ৭টি গরু।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার পাঁচড়া এলাকার কুদ্দুস শেখের ছেলে জনি শেখ (৩৬) ও হোসেন শেখের ছেলে হৃদয় হোসেন ( ৩৩)।
এ ঘটনায় পিকআপচালক মো. সজিবকে (৩৪) সন্দেহ করছেন গরুর মালিক নাজমুল। সজিব দিনাজপুরের রুস্তমপুর এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রাতে একই সড়কের চাপড়া ইউনিয়নের দবিরমোল্লা গেট এলাকা থেকে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রিপন শেখ নামের এক খামারির পাঁচটি গরু ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি ফরিদপুরের ভাঙা থানাধীন চকিঘাটা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু কিনেন। গরুগুলো ভাড়া করা পিকআপে (ঢাকা মেট্রো ন-১২-০২২৫) বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ৪-৫ সশস্ত্র ডাকাত পিকআপের সামনে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তাদের গতিরোধ করে। এরপর ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জনি ও হৃদয়কে কুপিয়ে আহত করে সাতটি গরু নিয়ে যান।
থানা চত্বরে নাজমুল বলেন, অনলাইনে গরু দেখে তারা তিনজন দিনাজপুরে যান গরু কিনতে। পছন্দ হওয়ায় তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকায় আটটি গরু কিনে ভাড়া পিকআপে ফিরছিলেন।
কুমারখালীর মৎস্য হ্যাচারির সামনে ডাকাতদল গাড়িতে আঘাত করলে চালক গাড়ি থামিয়ে দেন।
তিনি বলেন, এসময় ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জনি ও হৃদয়কে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। সেটি দেখে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করলেও ডাকাতরা সাতটি গরু নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, চালককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।