February 4, 2025, 12:45 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। অংশ নিচ্ছে মোট ৭০৮ প্রকশনা প্রতিষ্ঠান।
এবারের বইমেলার বিন্যাস আগের মতোই থাকছে, তবে মেট্রোরেলের কারণে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি প্রবেশপথ থাকবে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন। খাবারের স্টলগুলো সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে; নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা থাকছে আগের মতোই। শিশুদের জন্য এবারো রাখা হয়েছে পৃথক ‘শিশুচত্বর’, যেখানে তারা অবাধে ঘুরতে ও বই সংগ্রহ করতে পারবে।
বইমেলায় অংশ নেয়া প্রকাশনা সংস্থাগুলো ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতিদিন বিকাল ৪টায় মেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এবারের বইমেলায় মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার ৮৪ ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠানকে। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি। এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছরও একই-সংখ্যক প্যাভিলিয়ন ছিল।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় করা হয়েছে। সেখানে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৩০টি লিটলম্যাগকে। এছাড়া শিশুচত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর শিশুচত্বরে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছিল ১০৯ ইউনিট।
বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ের মধ্য থেকে শৈল্পিক বিচারে সেরা বই প্রকাশের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেয়া হবে। এছাড়া গত বছর প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত মান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার’ এবং এ বছর মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক সাজসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে ‘কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’।
Leave a Reply