March 9, 2025, 8:00 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গড়াই নদীতে আবার দেখা মিলেছে মিঠাপানির কুমির। গড়াইয়ের রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহ ভাটিতে কুমির ভেসে উঠতে দেখছেন তীরবর্তী মানুষ। অনেকে মুঠোফোনে ধারণ করেছে কুমির ভেসে ওঠার চিত্র। এলাকাসীর দাবি একটি-দুটি নয় একাধিক কুমির দেখা দেখা গেছে।
মোবাইল পোনে ধারন করা কুমিরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষদের। বন্ধ হয়ে গেছে নদীতে গোসলসহ সব ধরনের কাজ।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে গতবছরের ২৪ ডিসেম্বর গড়াই নদীর কুষ্টিয়া অংশের মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে জেলের জালে ধরা পড়ে ১০ফুট দৈর্ঘ্যে ৩ ফুট চওড়া একটি কুমির। পরে সেটি পদ্মায় অবমুক্ত করা হয়।
গড়াই নদীটি কুষ্টিয়া জেলার হাটশহরিপুর থেকে প্রবহমান পদ্মা নদী হতে উৎপত্তি লাভ করে রাজবাড়ী হয়ে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে মধুমতি নদীতে পতিত হয়েছে। মধুমতি গিয়ে মিশেছে সাগরে।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়া গ্রাম গড়াই নদীর মোহনের ঘাট এলাকায় রোববার দেখা মিলে একটি কুমির। কুমিরটির ছবি ধারন করা হয় মোবাইলে। কুমিরটি ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের বেশি।
এ পর্যন্ত তিনটি কুমির দেখেছেন বলে জানিয়েছে নদীতীরের বাসিন্দারা। কুমির দেখতে নদীর তীর ধরে সারাদিনই দুটি জেলার অসংখ্য মানুষ জড়ো হচ্ছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া অংশে কমপক্ষে দুটি কুমির ভেসে বেড়াতে দেখেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার মাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। বড় কুমির ছাড়াও তার সাথে ছোট ছোট বাচ্চা আছে।
ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল অফিসার খোন্দকার গিয়াস উদ্দীন মুকুল বলেন, তিনি আরো বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে হয়তো কুমিরগুলো এসেছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় তারা যায়নি, স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শুনছি বাচ্চাও দিয়েছে।’
তিনি বলেন, এটা পরিবেশের জন্য একটা ভালো খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে, জীববৈচিত্রের আরো অনেক কিছুই থাকবে। এটা আগে ছিল। আমরা আশা করি নদী আগের রূপে ফিরে আসুক।’
কুমিরগুলোকে উত্যক্ত বা আঘাত না করার পরামর্শও দিয়েছেন এ বন কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র জানিয়েছেন কুমিরের আবির্ভাব অস্বাভাবিক নয়। এখন গরমের মৌসুম মিঠাপানিতে মাঝসহ অন্যান্য ছোট প্রাণীর বিচরণ বেড়েছে সেগুলো খেতে ভাটি থেকে উজানের দিকে কুমির উঠে আসা বিচিত্র নয়।
”তবে ভয়ের কিছু নেই। এরা লোকালয়ে প্রবেশ করবে না।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আবু দারদা বলেন, ‘বিষয়টি শোনার তিনি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বন বিভাগকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।’
Leave a Reply