June 18, 2025, 8:57 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অবৈধভাবে নিয়োগ এবং নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
২৭ মার্চ এ আদেশ দেন যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ নাজমুল আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেন- যবিপ্রবির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দসু সাত্তার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক আব্দুর রউফ ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামালুদ্দিন।
অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল আমিন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত শেষে তাদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দেয় দুদক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলল ড. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন। অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি সরকারি বেতন-ভাতাবাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট ওই তিনজনকে আসামি করে দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এজাহারনামীয় ওই তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিদের পলাতক দেখানো হয়েছে।
Leave a Reply