September 27, 2025, 11:48 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ইলিশের প্রথম চালান ভারতের বাজারে পৌঁছেছে। ১০টি ট্রাকে করে ৫০ টন ইলিশ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে কলকাতায় প্রবেশ করে। এরপর সেগুলো দ্রুত হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে পৌঁছানো হয়।
কলকাতার হাওড়া বাজারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ইলিশ বিক্রির জন্য প্রদর্শিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্গাপূজা ঘিরে বাঙালিদের উৎসবের আমেজে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় দুপুর থেকেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে। উৎসব মৌসুমে কলকাতা এবং আশপাশের জেলায় বাংলাদেশি ইলিশের জনপ্রিয়তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
পেট্রাপোল সীমান্তে ইলিশের এই চালান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) সাবরিন চৌধুরী।
এ সময় পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যান্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ইলিশ সীমান্ত অতিক্রম করার পর দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে প্রবাহিত করা হয়েছে, যাতে বাজারে সরবরাহে কোনো দেরি না হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “এই মৌসুমে ইলিশের প্রথম চালান হিসেবে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৫০ টন ইলিশ এসেছে। সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে এগুলো কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া ও কলকাতার পাইকারি বাজারগুলোতে পৌঁছে যায়।”
বাংলাদেশ সরকার চলমান রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ বছর ভারতের জন্য ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। তবে অনুমোদন কার্যকরের সময়সীমা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ফলে নির্ধারিত সময়ে পুরো ১,২০০ টন ইলিশ আমদানি সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর খুব অল্প সময়ের মধ্যে রপ্তানির সুযোগ দেয়। এত কম সময়ে পুরো অনুমোদিত কোটা পূরণ করা সম্ভব হয় না। এ বছরও ১,২০০ টন ইলিশের সম্পূর্ণ আমদানি বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হয় না।”
বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ইলিশ রপ্তানি করছে সাড়ে ১২ ডলার কেজি মূল্যে। তবে কলকাতার খুচরা বাজারে বাংলাদেশি ইলিশের দাম দুই হাজার রুপির ওপরে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালির জন্য ‘ইলিশ বিলাসিতা’ আরও সীমিত হয়ে পড়বে।