October 8, 2025, 12:14 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুষ্টিয়া জেলা শাখার দুই শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে এনসিপির কুষ্টিয়া জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তারা সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও পদত্যাগ চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এই আবেদনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জনসমক্ষে আসে।
অব্যাহতি চাওয়া দুই নেতা হলেন: এবাদত আলী, কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী ও শরিফুল ইসলাম সবুজ, দুই নম্বর সদস্য
এবাদত আলী তার আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, “আমি জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে একজন নিবেদিত সমর্থক হিসেবে সক্রিয় ছিলাম। গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনে কুষ্টিয়া সদরে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করি। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠিত হলে আমাকে কুষ্টিয়া জেলার ১ম যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এজন্য আমি এনসিপি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে পারিবারিক দায়িত্ব ও বয়সের কারণে বর্তমানে দলের দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা প্রকাশ করছি। তারপরও একটি বৈষম্যহীন, ফ্যাসিবাদমুক্ত ও আধিপত্যবিরোধী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনে যারা কাজ করবেন, তাদের প্রতি আমার নৈতিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
অন্যদিকে শরিফুল ইসলাম সবুজ লিখেছেন, “সূচনালগ্ন থেকে আমি এনসিপির কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম এবং বিশ্বাস করেছিলাম দল জুলাই আন্দোলনের মূল্যবোধ ধারণ করবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দল তার পথ হারিয়েছে। নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডে আপসনীতি ও সুবিধাবাদী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা জুলাই আন্দোলনের চেতনার বিপরীত। আমার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট—অন্দোলনের চেতনা বিসর্জন দিয়ে কোনো দল বা নেতৃত্ব অনুসরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অতএব, আজ থেকে আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির সব কার্যক্রম ও সদস্যপদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করছি।”
দুই নেতা গণমাধ্যমকে জানান, “দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম ও জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থী কাজসহ ব্যক্তিগত কারণে আমরা এনসিপির সব ধরনের দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। ভবিষ্যতে দলে থাকার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করব।”
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জান্নাতুল ফেরদৌস টনি জানান, পদত্যাগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বেশী কিছু জানেন না।