October 29, 2025, 10:15 pm

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত বছরের জুলাইয়ে দেশব্যাপী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে। তখনই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলরত তিনটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন—মৈত্রী, মিতালি ও বন্ধন এক্সপ্রেস—ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর দুদফা ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয় ট্রেন চালু করার জন্য। কিন্তু ভারত নিরাপত্তার কারণে রাজি হয়নি। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে এই তিনটি ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
আগামী বছরের মার্চে ৩৮তম ‘ইন্ট্রা-গভর্নমেন্ট রেলওয়ে মিটিং’ (আইজিআরএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রস্তুতিমূলক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভারতের কাছে তৃতীয়বারের মতো চিঠি পাঠানো হবে। চিঠির মাধ্যমে ট্রেন পুনরায় চালু করা এবং অতিরিক্ত মালপত্র পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান সংযুক্ত করার বিষয়ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করা হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু ব্যবহার করে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নতুন রুট অনুমোদনের জন্যও ভারতকে চিঠি পাঠানো হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানান, চিঠি প্রক্রিয়াই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করার একমাত্র পথ। আগেরবারও চিঠি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখিয়ে ভারত ট্রেন চালাতে রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি পূর্ণ। ভারত চাইলে যে কোনো সময় ট্রেন চালানো সম্ভব।”
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি রেল ইন্টারচেঞ্জ থাকলেও শুধু পাঁচটি সচল, আর যাত্রীবাহী তিনটি ট্রেন দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে। চিঠি প্রেরণের পর কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা চলবে।