November 28, 2025, 3:54 am

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়িয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) জারি করা এক বিশেষ আদেশে ২০২৫-২৬ কর বছরের রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ জাগো নিউজকে জানান, চলতি বছর ১৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। করদাতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-রিটার্ন জমা দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে অনলাইনে নিবন্ধন বা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে যদি কোনো করদাতা ই-রিটার্ন দাখিলে অসমর্থ হন, তবে তিনি আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন বলেও এনবিআর জানায়।
এ বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা, প্রয়াত করদাতার আইনগত প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক ছাড়া অন্যান্য সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে যেসব করদাতাকে এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তারাও চাইলে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
এনবিআর জানায়, করদাতার অনুমোদিত প্রতিনিধি এ বছর প্রথমবারের মতো অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারছেন। বিদেশে থাকা করদাতারা পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র, ই-মেইল অ্যাড্রেসসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ereturn@etaxnbr.gov.bd
এ পাঠালে তাদের ই-মেইলে ওটিপি ও রেজিস্ট্রেশন লিংক পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিদেশে অবস্থানরত করদাতাদের জন্যও অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করা আরও সহজ হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, কোনো দলিলপত্র আপলোড ছাড়াই করদাতারা আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য পূরণ করে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা বিকাশ-নগদের মাধ্যমে সহজেই কর পরিশোধ করে ই-রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। দাখিলের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিটার্ন গ্রহণের স্বীকারোক্তি এবং আয়কর সনদও পাওয়া যাচ্ছে।
ই-রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য এনবিআর এ বছরও করদাতা, করদাতার প্রতিনিধি, আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং চার্টার্ড সেক্রেটারিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এ ছাড়া ই-রিটার্ন সংক্রান্ত জটিলতায় সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টার চালু করেছে। করদাতারা ফোন করে তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ‘ই-ট্যাক্স সার্ভিসেস’ অপশন এবং সারাদেশের কর অফিসে থাকা ই-রিটার্ন হেল্প-ডেস্ক থেকেও দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে।