May 10, 2025, 12:42 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধ/দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত, ধৈর্য ধরার আহ্বান সরকারের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি/ ‘জমায়েত মঞ্চে’র সামনে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা আরব আমিরাতে কেজি স্কুল থেকেই শিশুরা এআই শিখবে রাতভর যুদ্ধে শ’য়ের বেশি পাক-ড্রোন নিক্ষেপ, চন্ডীগড়ে সাইরেন দেশে প্রথম/রাজশাহীর দুটি জলাভূমিকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা কুষ্টিয়াসহ দেশের ৪৪ জেলায় তাপপ্রবাহ, চুয়াডাঙ্গায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠানও জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ ঃ সংস্কৃতি উপদেষ্টা শিলাইদহে জাতীয় উৎসব/রবীন্দ্রনাথ: এক সংযুক্ত বিন্যাসের অনুসন্ধান মেহেরপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, ৩ জনের মৃত্যু দুই পুত্রবধূকে নিয়ে নিজ বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়া

কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ পুনরায় কুষ্টিয়ায় দাফন

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাাতদন্ত শেষে দুই দিন পর পুনরায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ দাফন সম্পন্ন হয় বলে নিশ্চিত করেছেন লাশের সাথে খুলনা খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবির কুমার বিশ্বাস। এসময় কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সকালে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ওসি প্রবীর জানান মরদেহ ড. সেলিমের বাবা শুকুর আলী ও দুই চাচাতো ভাই শামিম এবং সোহেলের নিকট সনাক্ত পূর্বক বুঝে দেয়া হয়েছে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ দাফন করা হয়েছে।
ড. সেলিমের মরদেহ আসার খবর জেলে তার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। সেলিমের বাবা শুকুর আলী ও দুই বোন শিউলি খাতুন ও শ্যামলী খাতুনও সেখানে ছিলেন।
গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। তিনি একতই সাথে ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁর মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
সন্দেহ করা হয় বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে গিয়ে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়।
এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে খান জাহান আলী থানায়।
এর মধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমান বিশ^বিদ্যালয় পক্ষ থেকে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য লাশ উত্তোলন করে পূণ তদন্তের জন্য অনুরোধ করে খুলনা জেলা পুলিশকে একটি পত্র দেন। পরবর্তীতে খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
এর প্রেক্ষিতে বুধবার কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত মরদেহ উত্তোলন করে খানজাহান আলী থানার পুলিশের একটি টিমের কাছে হস্তান্তর করেন।
এদিকে দ্বিতীয় দফা দাফনের সময়ও ড. সেলিমের পরিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
সেলিমের বাবা শুকুর আলী বলেন তিনি মনে করেন তার সন্তানের মৃত্যুটি স্বাভাবিক ছিল না। সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত বিষয়টি উঠে আসতো। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে কি না তিনি তা বুঝতে পারছেন না।
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি  জানান ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম বিশ^বিদ্যালয় ও পুলিশের একাধিক সংস্থার মাধ্যমে চলছে। বিশ^বিদ্যালয় কতৃপক্ষও চান বিষয়টি উঠে আসুক।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net