November 22, 2024, 1:47 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আজ থেকে তিনদিনব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং লালন একাডেমির আয়োজনে লালনের এ অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে।
অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক কালি নদীর ধারে লালন মঞ্চে লালনের জীবনীর উপর আলোচনা ও লালন সঙ্গীত অনুষ্ঠান এবং গ্রামীন মেলা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লালন ভক্ত অনুসারীরা লালন আখড়াবাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছেন। এসেছেন বাউল ভক্তবৃন্দ। দেশে বিদেশ থেকে এসেছেন বাউল গবেষকরাও। তিনদিনের এ মেলায় সমবেত হয়ে থাকেন ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ।
১৮৯০ ইং ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক ভোরে এই মরমী সাধক বাউল সম্রাট দেহত্যাগ করেন এবং তাঁর সাধন-ভজনের ঘরের মধ্যেই তাকে সমাহিত করা হয়। লালনের মৃত্যুর পর তারই ধারাবাহিকতায় এ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। প্রতি বছর ১ কার্তিক আড়ম্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবস পালন করা হয়।
ইতোমধ্যে আখড়াবাড়ি হাজারো ভক্ত- অনুসারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। মূল মাজার থেকে বাইরে কালি নদীর পাড় ঘেঁষে লালন মাঠে শতাধিক অস্থায়ী থাকার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে কয়েকশ দোকান বসেছে। অস্থায়ী তাবু বিছানো হয়েছে কয়েকশ। সেখানে বসেছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-অনুসারীদের খন্ডখন্ড দল। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।
দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-অনুসারীরা দলে দলে লালন চত্বরে হাজির হয়ে লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান গেয়ে মাতিয়ে তুলছেন লালন চত্বর। দিনরাত গান ছাড়াও তারা লালন ফকিরের বাণী নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অনেকে আবার লালনের মত ও পথের দীক্ষা নিচ্ছেন।
১৮৯০ ইং ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক ভোরে এই মরমী সাধক বাউল সম্রাট দেহত্যাগ করেন এবং তাঁর সাধন-ভজনের ঘরের মধ্যেই তাকে সমাহিত করা হয়। লালনের মৃত্যুর পর তারই ধারাবাহিকতায় এ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। প্রতি বছর ১ কার্তিক আড়ম্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবস পালন করা হয়।
কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শারমিন আখতার জানান, অনুষ্ঠানসূচী গতানুগতিকভাবেই সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, সকল মানুষ মানুষ এক লালনকে গ্রহন করেছে তাঁর অহিংস নীতি ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারনে। তিনি বলেন লালনের অহিংস নীতির মূল বাণী ছড়িয়ে দেয়ায় এ অনুষ্ঠানের মূলসুর।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পালন উপলক্ষে আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সারাক্ষণ টহল অব্যাহত রেখেছে। তিনি সবাইকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে অনুষ্ঠানসমুহে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান।
তিন দিনের অনুষ্ঠানে লালনের সাধন-ভজন বিষয়ক সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন লালন একাডেমির শিল্পী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বাউল শিল্পী ও ভক্তরা।
Leave a Reply