November 15, 2024, 5:34 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
যশোরের শার্শা থেকে অপহৃত নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলো- শাকিল হোসেন (২০) ও তার সহযোগী ইব্রাহিম শেখ (৪৫)। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের বরইপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, শাকিল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৪)। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম। তারপর ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় শাকিল। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল ও তার সহযোগী ইব্রাহিম শেখ ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে বলে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে যশোরের শার্শা থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাকিল ও ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। পরে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে বুধবার দুপুরে বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন এবং ওই দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেন।
মেয়েটির মা জানান, তাদের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে। তার মেয়ে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। শাকিল হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাকিল তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার মেয়ে সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে তার মেয়ে বিদ্যালয় থেকে নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখ তার মেয়েকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে যশোর শহরের দিকে চলে যান। মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু তারা মেয়েকে রক্ষা করতে পারেননি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার থানায় মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে ইবি থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুই আসামি শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অপহৃত ছাত্রীটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আদালত উদ্ধার করা ছাত্রীকে তার মায়ের জিম্মায় সোপর্দ করেছেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply