February 11, 2025, 5:36 am
জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা/
এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি ক্লিনিক ভাংচুর করা হয়েছে।
জন্মের দুদিনের মাথায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। রাতে আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিক ভাংচুর করে ক্ষুদ্ধ ওই নবজাতকের পরিবার। ক্লিনিকের থাইকাচের দরজা ও সাটার ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
স্বজনরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের ওল্টু রহমানের স্ত্রী মনিরা খাতুনের কোন সন্তান হয়না। দীর্ঘ ৮ বছর পর তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা হন। গত রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মনিরা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে গত রোববার তাকে আলমডাঙ্গার মা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই ডা. লিফা নারছিস চৈতী প্রসূতির সিজার অপারেশন করেন। পুত্রসন্তান প্রসব করেন প্রসূতি মনিরা খাতুন। পরদিন সোমবার হঠাৎ কান্না শুরু করে ওই নবজাতক। তাকে নেয়া হয় মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমানের আলমডাঙ্গাস্থ চেম্বারে। ডা. হাবিবুর রহমান নবজাতকের চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে কুষ্টিয়ায় ভালো কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে চায়লে বাধা দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় মারা যায় শিশুটি।
শিশুটির পিতা ওল্টু রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসা প্রদান ও অন্য চিকিৎসকের কাছে নিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়ায় আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। সময়মত ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে সে বেঁচে থাকতো।
ক্লিনিক মালিক আনোয়ার হোসেন জালাল জানান, আমার ক্লিনিকে প্রসূতির অপারেশন বা অপারেশনের পর সেবায় কোনো ত্রুটি হয়নি। ভূমিষ্ঠের পর শিশুটি সুস্থ ছিলো। তারপরও ক্লিনিকে হামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ঘটনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে, ওই ঘটনায় থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply