March 12, 2025, 4:56 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
যশোরে আলুর ফলন বেড়েছে, কৃষকরা ভাল করেছেন আলু বীজেও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত মাগুরায় শিশু ধর্ষণ/প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে হত্যা চেষ্টাসহ দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ইনুকে, কুষ্টিয়া কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশে সরকার বদলালে সম্পর্কে পরিবর্তন আসতে পারে: ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরার সেই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক, মেডিকেল বোর্ড গঠন বাংলাদেশে সকল সমস্যার সমাধানে গণতান্ত্রিক উপায়ে জোর ভারতের আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ/একটি জাতি যেভাবে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি পায় জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা মনিটরিং-এ নতুন টাস্কফোর্সের কমিটি পুনর্গঠন

অন্ধত্বকে জয়করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে খোকসার রিংকু

হুমায়ুন কবির, খোকসা/

মোঃ রিংকু হোসেন, বয়স ২৪বছর, পিতা আমির হোসেন, বাড়ী খোকসা কালীবাড়ী। বাবা মায়ের ৩ সন্তানের বড় সন্তান। নামটি শুনলেই এক বাক্যে খোকসাবাসীর সবাই চেনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিংকু। অন্ধত্বকে জয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিজ্ঞাপনের কণ্ঠ মিলিয়ে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।

 

২০০৭ সালে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন রিংকু। পিতা আমির হোসেন স্থানীয় ডা: রেজাউল করিম এর স্বরণাপন্ন হন রিংকুর চিকিৎসার জন্য। তার চিকিৎসায় রিংকু সুস্থ্য না হলে, স্থানীয় বৃত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ঢাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এতে রিংকুর বাম চোখের ৩৩% দৃষ্টি ফিরে পেলেও ডান চোখটি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়। অর্থ সংকুলান না করতে পেরে কারিকর সম্প্রদায়ের দিনমজুর পিতা আমির হোসেন ছেলেকে আর চিকিৎসা করাতে পারে না। এরই মধ্যে রিংকুর লেখা পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

 

 

বিভিন্ন মাধ্যমে গান এবং কণ্ঠ শুনে কন্ঠ মিলাতে থাকে রিংকু গুনগুনিয়ে। একপর্যায়ে অনেকের কন্ঠেই নিজের কন্ঠ মিলাতে সক্ষম হয়। সময়ের দাবীতে “প্রচারই প্রসার ব্যবসার আঙ্গিনায়” এমনই স্লোগানকে সামনে রেখে রিংকু মনোনিবেশ হয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের প্রচারে কণ্ঠ দেয়। স্থানীয় ৩-৪ জন বিজ্ঞাপন রেকর্ডার এর দোকানে কণ্ঠ দিয়ে উপার্জন করে। এতে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই চলে রিংকুর বাবা মায়ের সংসার।

বাবার পৈত্রিক ব্যবসাটি এখনই ধরে রেখেছেন রিংকুর বাবা কোন মতে। সামান্য পুঁজিতে যতটুকু ব্যবসা হয় তা দিয়ে রিংকুদের পরিবার চলে বড় কষ্টে। তার উপর রিংকুর চোখের চিকিৎসা করানো তাদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল। বৃত্তবানরা একটু হাতবাড়িয়ে দিলে হয়তো পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারে টগবগে যৌবনা রিংকু হোসেন।

 

 

নিজের কোন স্থায়ী ঠিকানা না থাকলেও বিজ্ঞাপন প্রচারে কণ্ঠ মিলাতে রিংকুর সাথে যোগাযোগের একটিই মাধ্যম তার হাতে থাকা মুঠোফোন। যে প্রান্তেই থাকুক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা দোকান থেকে ফোন দিলে রিংকুর রেকর্ডিং সেন্টার সেই মাইকের দোকানে।

 

 

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিংকু সামাজিক শত প্রতিকুলতা উপেক্ষা করেও ব্যক্তি উদ্যোগে স্বচেষ্টায় কণ্ঠ ব্যবসায় যোগ দিয়ে নিজেকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অন্ধত্ব বরণ করেও ভিক্ষার ঝুলিকে ধীক্কার দিয়ে নিজের কর্মে মনোনিবেশ করে নিজের তথা পরিবারের আয়ের উৎস হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিংকু। সমাজের অনেকেরই অনুকরনীয় হতে পারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিংকু।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net