October 9, 2025, 1:12 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
পাবনায় জুলাই ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পদ্মা নদীতে নৌ-চ্যানেলে খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, দুজন গুলিবিদ্ধ বিসিবি গঠন/সভাপতি বুলবুল, অন্যান্য পদে যারা এলেন কুষ্টিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারত থেকে আমদানি শুরুর কয়েক ঘন্টায় কাঁচা মরিচের দাম কমল ১৩০ টাকা সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড/দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পূজা কারনে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, দেশে কাঁচামরিচের দাম আকাশছোঁয়া প্রশাসনে এক বছরে পদোন্নতি ১৮১৭ : পদের চেয়ে কর্মকর্তা বেশি সহস্রাধিক কুষ্টিয়া/দুপুরে নিখোঁজ, রাতে বাড়ির পাশের ডোবায় স্কুলছাত্রীর মরদেহ দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম/কুষ্টিয়া জেলা কমিটি থেকে এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ

৩৯ বছর পর রায় পেলেন কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণের চাকুরীচ্যুত সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল আলম

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
প্রায় ৩৯ বছর আগে মাত্র আড়াই টাকা বেশি দামে সরকারি পাট বীজ বিক্রির অভিযোগে স্বাধীনতার ১১ বছরের মাথায় চাকরি হারাতে হয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল আলম আকনের। স্বাধীনতার মাত্র ১১ বছরের মাথায় ১৯৮২ সালে সামরিক জান্তার আদালতের আদেশে চাকরি হারানো সেই বীর অবশেষে নিজের অধিকার ফিরে পেলেন। একই সাথে সকল দন্ড বাতিল করে চাকরিকালীন সব সুযোগ সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
ঘটনাটি এরশাদের সামরিক শাসন আমলের। মাত্র আড়াই টাকা বেশি দামে সরকারি পাট বীজ বিক্রির অভিযোগে ১৯৮২ সালের ১৫ এপ্রিল পাট সম্প্রসারণ সহকারী মো. ওবায়দুল আলম আকনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর এরশাদের সামরিক আদালত আকনকে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি দুই মাস জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর প্রায় ৩০ বছর পর ২০১২ সালে সামরিক আদালতের সেই সাজা ও চাকুরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওবায়দুল আলম আকন। সেই রিটে চাকুরিচ্যুতি থেকে অবসরে যাওয়ার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সব সুযোগ-সুবিধাসহ সমুদয় বেতন-ভাতা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট ওবায়দুল আলমের সাজা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সব বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আপিল করে। এই আপিলের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ে ওবায়দুল আলম আকনের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের অংশ বহাল রেখে সামরিক আদালতের সাজা অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত অংশটি (এক্সপাঞ্জ) বাদ দেওয়া হয়। তবে এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। সেই আবেদন খারিজ করে আজ রায় দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আজকের এই রায়ের ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল আলম আকন তার চাকরি জীবনের সব বেতন-ভাতা ফিরে পাবেন।
আদালতে ওবায়দুল আলম আকনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে মোর্শেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net