November 23, 2024, 12:37 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আমদানীর সময়সীমা শেষ হওয়ায় আপাতত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি রোববার (৩১ অক্টোবর) থেকে বন্ধ রয়েছে।
এই সময়সীমা শনিবার শেষ হয়ে গেলে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা যায়, দেশের বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার গত ২৫ আগস্ট ৪০০ জন আমদানিকারককে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ছিল ১৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী শনিবার ছিল চাল আমদানির শেষ দিন।
আমদানিকারক আব্দুস সামাদ বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া মোটা চাল প্রতিকেজি ৪০ টাকা এবং চিকন চাল ৫২ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা চাল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
৩১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আর চাল আমদানি করতে পারবেন না।
এদিকে, ভারতীয় সীমান্তে বেশকিছু চালের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া সময়সীমার পর এসব চাল আনতে হলে শতকরা ৬২ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করে আনতে হবে। এর আগে আমদানিকৃত চালের শুল্ক ছিল শতকরা ২৫ ভাগ।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী নির্দেশনা আসলে ভারত সীমান্তে আটকে থাকা চাল শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসায়ীরা খালাস নিতে পারবেন। নির্দেশনা না এলে শতকরা ৬২ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করে চাল খালাস নিতে হবে।
সে অবস্থায় চাল কেনা, শুল্ক পরিশোধ ও অন্যান্য খরচ দিয়ে প্রতিকেজি চালের মূল্য পড়বে প্রায় ৬০ টাকার কাছাকাছি।
Leave a Reply