August 3, 2025, 2:48 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মূল্য দেয় না কেউ, ভেসে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা : খোদ জাতিসংঘ হাজার কোটি টাকার গড়াই নদী খনন/ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে ব্যর্থতা ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৭ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ কার্যকর/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দেশে প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দরিদ্র, শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বছরে ১০-১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: মানুষের প্রকৃত আয় এখনো ঋণাত্মক হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স/১ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা গোপন তৎপরতার আশঙ্কা: ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে পুলিশ

ইবির ২ বিভাগে এমফিল/পিএইচডি গবেষণায় ভর্তি আবেদনে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত দুটি বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি গবেষণায় ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে নীতিমালাবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বিজ্ঞপ্তির বাইরে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদন ফি প্রদানের পরও আলাদাভাবে বিভাগের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি দিতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছুদেরকে।
বিভাগ দুটি হলো আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে
রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দেওয়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিধ রসিদের মাধ্যমে এমফিলের ক্ষেত্রে এক হাজার এবং পিএইচডির ক্ষেত্রে এক হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এর বাইরে কোনো টাকা দিতে হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগগুলোতে ভর্তীচ্ছুরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি দিয়ে আবেদন করলেও আল-কুরআন বিভাগে এমফিলে ভর্তীচ্ছুদের থেকে অতিরিক্ত এক হাজার ৫০০ এবং পিএইচডিতে ভর্তীচ্ছুদের থেকে দুই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আল-হাদিস বিভাগে উভয় ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগের ব্যয়ের জন্য এ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিভাগীয় প্রধানরা।
তবে একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার সব ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করে। এর আগেও বিভাগগুলোকে অর্থ দেওয়া হয়েছে, এবারও বিভাগে পরীক্ষা হলে অর্থ দেওয়া হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ফি বাদে অন্য কোনো ফি গ্রহণ নীতিমালায় নেই।
একাডেমিক শাখার প্রধান এ টি এম এমদাদুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়ার নিয়ম নেই। কোনো বিভাগ এটি করতে পারে না।
বিভাগ সূত্র জানিয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে ফি নেওয়া হলেও বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম করতে হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশন কমিটি (পিএটিসি) থেকে বিভাগকে কোনো অর্থ প্রদান করা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই ফি নেওয়া হয়। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্তে এটি নেওয়া হয়।
কয়েকটি বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তারা প্রতিবেদককে বলেন, পরীক্ষার পর ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন যারা তাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ফি নিয়ে থাকে বিভাগগুলো। ভর্তির আগে যেহেতু তারা শিক্ষার্থী থাকে না, তাই এ সময় তাদের কাছ থেকে আলাদা কোনো ফি নেওয়া অযৌক্তিক। এ ছাড়া ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো ব্যয় হয়ে থাকলেও পরবর্তী সময়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফি থেকে সেটি সমন্বয় করার সুযোগ থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিষয়টিকে খুবই অনুচিত মনে করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে । বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তো তাদের দায়িত্ব থাকে আবেদন যাচাই করার, এ জন্য অতিরিক্ত টাকা নিতে হবে এমন তো কথা না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net