November 21, 2024, 8:16 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় বিধি ও সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে একটি সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়া মামলা করেছে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরুনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে। অরুন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের চাচা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন – কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. আবুল কাশেম, শিক্ষক প্রতিনিধি ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ভোকেশনাল শাখার মো. আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. খলিলুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আসমা বেগম মালা, সহকারী শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) এস এম আতি বিন বাপ্পী, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) কুতুবুল আলম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মনিরা পারভিন, সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) লুৎফুন নাহার লাবনী, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) শেখ মো. সেলিম রেজা, কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর (ভোকেশনাল শাখা) সাম্মী আক্তার, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদী, সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) মো. শহিদুল ইসলাম, নিম্মমান সহকারী কম্পিউটার অপারেটর বাসনা রানী কর্মকার, আয়া মোছা, রুপালী খাতুন, পরিছন্নতা কর্মী সনজিদ কুমার বাঁশফর, নৈশ্য প্রহরী মো. নাসিম হোসেন, অফিস সহায়ক (পিয়ন) মো. আলমগীর হোসেন, দারোয়ান মো. আমিরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট মোছা. খাদিজাতুল কোবরা ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা দায়েরকারী দুদক কর্মকর্তা জানান আসামীরা অপরাধমূলক অসদাচরণ করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র সৃজন এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান কওে ও সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী পদে নিয়োগ একাধিক শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি জানান মামলাটি তদন্তাধীন। পরিপূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করে অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম যিনি বর্তমানে অবসওে রয়েছেন জানান মামলার কথা শুনেছেন। তবে কি নিয়ে মামলা তা াতান জানেন না।
মূল অভিযুক্ত কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন জানান তিনি সভাপতি থাকাকালীন অনেক নিয়োগ হয়েছে এটা সঠিক। তবে নির্দ্দিষ্ট কোন বিষয়ে অনিয়ম তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন দুদক তদন্ত করে দেখুক তারপর দেখা যাবে।
Leave a Reply